পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর হবে কোন টোটকায়? ছবি: শাটারস্টক।
হালের বিভিন্ন গবেষণাই বলছে, নানাবিধ কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মানসিক চাপ, তেমনই বিশ্রামের অভাব। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস দ্রুত হারে কমিয়ে দিচ্ছে শুক্রাণুর উৎপাদন। ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা। তবে ডায়েটে কিছু খাবার বেশি মাত্রায় রাখতে পারলে পুরুষরা কিন্তু বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে যৌনজীবন ভাল করার দাওয়াই হিসাবে অভিনেতা বরুণ ধবনের মুখে শোনা গিয়েছিল অশ্বগন্ধার নাম। আদৌ কি যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে কাজে আসে এই ভেষজ? কী বলছে বিজ্ঞান?
১. পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল মানসিক চাপ। অফিসের অত্যধিক কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, প্রতিযোগিতার টানাপড়েন— নানা কারণে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ, উদ্বেগ দূর করতে অশ্বগন্ধা বেশ উপকারী। নিয়মিত এই ভেষজটি ডায়েটে রাখলে মানসিক চাপ কমে, ফলে যৌন আসক্তিও বাড়ে।
২. অশ্বগন্ধার মধ্যে যৌন উদ্দীপক যৌগ থাকে। সেই যৌগের ফলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে যৌনশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
৩. বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর ০.৪ থেকে ২ শতাংশ হারে এই হরমোনের উৎপাদন কমতে থাকে। এর ফলে কমতে থাকে যৌন আসক্তিও। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বাড়ে।
৪. শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতেও এই ভেষজের ভূমিকা আছে। শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই বাবা হতে পারেন না। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী এই দাওয়াইতে শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে।
অশ্বগন্ধার মধ্যে যৌন উদ্দীপক যৌগ থাকে। ছবি: শাটারস্টক।
কী ভাবে খাবেন?
১. এক চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ঈষদুষ্ণ জলে গুলে দশ মিনিট রেখে তার পর সেই পানীয় খেয়ে ফেলুন। দিনে এক থেকে দু’বার এই পানীয় খেতে পারেন।
২. ঘুমোনোর আগে গরম দুধে এক চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩. বাজারে অশ্বগন্ধার ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। সেটিও খাওয়া যেতে পারে।