রোজের কিছু অভ্যাসেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে শরীরে। ছবি: শাটারস্টক।
মিষ্টির প্রতি অগাধ ভালবাসাই ডায়াবিটিসের একমাত্র কারণ— এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। মিষ্টি খেলেই যে ডায়াবিটিস হবে, এমনটা কোনও গবেষণায় বলা হয়নি। তবে, ডায়াবিটিস ধরা পড়লে মিষ্টি খাওয়ার উপর বিধিনিষেধ চলে আসে। কারণ, অত্যধিক মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তবে রোজকার কিছু অভ্যাসেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে শরীরে। বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস থাকলে আপনারও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। রোগের হাত থেকে রেহাই পেতে কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানবেন, রইল হদিস।
১) সকালে অফিসের তাড়ায় অনেকেই প্রাতরাশ না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার পর, দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাসের কারণে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাতরাশ করতে হবে পেট ভরে।
২) ব্যস্ত জীবনে ঘুমের সঙ্গে আপস করেন কেউ কেউ। অপর্যাপ্ত ঘুম নানা রোগবালাই ডেকে আনে। শরীর সুস্থ রাখতে যে পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন, তার চেয়ে কম হলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম কিন্তু ভীষণ জরুরি।
৩) দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করলেও ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবিটিসের। শরীর যত সচল রাখবেন, ততই ডায়াবিটিস দূরে থাকবে। ওবেসিটি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম বড় কারণ। তাই যত পারবেন শরীর সচল রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চার অভ্যাস করুন। জিমে না গেলেও বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম করুন।
দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করলেও ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবিটিসের। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপানের সঙ্গেও ডায়াবিটিসের যোগ রয়েছেন। তাই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে ধূমপানের অভ্যাসে রাশ টানুন সবার আগে।
৫) মানসিক চাপের কারণেও ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন কেউ কেউ। কর্মক্ষেত্রে চাপ, বাড়িতে সমস্যা— চিন্তার জেরে বেড়ে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত যোগাসন করুন। মাঝেমধ্যে সময় বার করে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিন। মন ভাল রাখার চেষ্টা করুন।