শীতকালে বাজারে গিয়ে কোন ফলগুলি কিনবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর সুস্থ রাখা সহজ নয়। আর সেই কাজটি শীতকালে যেন বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, শীত পড়তেই সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপ বাড়তে থাকে। তবে শীত আসার আগে থেকেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে নানা শারীরিক সমস্যা। ঠান্ডা লাগা তো আছেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণজনিত শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। এই মরসুমে তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে কয়েকটি ফল। শীতের বাজারে বাহারি ফলের অভাব নেই। তবে যে ফলগুলি খেলে উপকার পেতে পারেন, সেগুলিই কিনে আনতে পারেন।
কমলালেবু
শহর থেকে শহরতলি শীতের চাদরে মুড়ে যাবে, আর বাজারের থলিতে কমলালেবু থাকবে না, তা তো হতে পারে না। কমলালেবু হল ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ফাইবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফাইবার ছাড়াও কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
পেয়ারা
পেয়ারায় ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এই উপাদান পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। পেটের গোলমাল কমাতেও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায় পেয়ারা থেকে। হজমের গোলমাল কমাতেও পেয়ারা কম উপকারী নয়।
আপেল
আপেল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টে ঠাসা। এই উপাদান মানসিক উদ্বেগ কমায়। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়াতেও আপেলের ভূমিকা রয়েছে। ডায়াবেটিকরা যদি রোজ একটি করে আপেল খান, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বেদানা
শীতকালে বেদানা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বেদানায় রয়েছে ফাইবারের মতো উপাদান। ফাইবার হজমের গোলমাল কমানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। বেদানার রস বানিয়েও খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
আঙুর
শরীর ভাল রাখতে আঙুর খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে, শীতকালে নিয়ম করে আঙুর খাওয়া প্রয়োজন। আঙুরে থাকা মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং আরও অন্যান্য উপাদান শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। শীতকালীন রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমে।