এমন কিছু ফল ও সব্জি রয়েছে, যেগুলির আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে তার খোসাতেই। ছবি: সংগৃহীত
সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল ও সব্জির গুণাগুণ আমরা সকলেই জানি। সব বাড়িতেই প্রতি দিন কোনও না কোনও সব্জি রান্না হয়। ফলও আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকেই। রান্নার পর সব্জি ও ফলের খোসা ফেলে দেন? এই খোসাও কিন্তু দারুণ উপকারী। সুস্বাস্থ্য পেতে ও রূপচর্চার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার!
এমন কিছু ফল ও সব্জি রয়েছে, যেগুলির আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে তার খোসাতেই। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও ত্বক নানা ধরনের সমস্যায় জেরবার অনেকেই। ফল বা সবজির খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য খুব ভাল।
আলুর খোসা
আলুর খোসা ফাইবারে ভরপুর। খোসা ছাড়ালে আলুর পুষ্টিগুণ বেশ অনেকটাই কমে যায়। বিপাক হার বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। আলুর খোসার মধ্যে থাকা বিভিন্ন রকম উৎসেচক ও ভিটামিন সি ত্বকের কালো ছোপ, চোখের তলায় কালি, ফোলা ভাব, ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
কলার খোসা
কলা ছাড়িয়ে তার খোসা মুখে লাগান। এই খোসা শুধু আপনার মুখের ট্যানিং দূর করবে না, এই খোসা ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকবে। এতে মুখের গর্ত বা বড় হয়ে যাওয়া কোষ.অনেকটা মিলিয়ে যায়। ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই খোসা আপনার দাঁতের জেল্লা ফেরাতেও দারুণ উপকারী। দাঁতে হলুদ ছোপ পড়লে কলার খোসা ঘষে নিন।
প্রতীকী ছবি
আপেলের খোসা
আপেলের খোসা ফাইবারে ভরপুর। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আপেলের খোসা ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ। তাই এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। খোসার মধ্যে রয়েছে আরসোলিক অ্যাসিড যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, স্থূলতার ঝুঁকি কমায়।
তরমুজের খোসা
ভাবছেন, তরমুজের এত শক্ত খোসা আবার কী করে খাবেন? না, তরমুজের একেবারে বাইরের সবুজ খোসা খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। তরমুজ কাটলে লাল তরমুজের গায়ে সাদা রঙের যে অংশ থাকে, তা-ও অনেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। তরমুজের ওই সাদা অংশেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬ ও সিট্রুলিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ উপকারী।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বিভিন্ন রান্নায় এই খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি হার্টের রোগীদের জন্য এই খোসা দারুণ উপকারী। ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এই খোসার কোনও তুলনা নেই।