ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে নিয়ম করে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজ অন্তত দু’টি করে ফল খাওয়া উচিত। গোটা ফল খাওয়ার পাশাপাশি অনেকে আবার ফলের রসও খান। ফল না কি ফলের রস? কোনটি বেশি পুষ্টিকর? এ নিয়ে একটা দ্বিধা আছেই। পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলোর সময়ে ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। তাতে একটা চাঙ্গা ভাব আসে শরীরে। কিন্তু স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে গোটা ফল। খুব ভাল হয় যদি খোসা-সহ ফল খাওয়া যায়। তা হলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে ফলের রসের থেকে এগিয়ে থাকবে গোটা ফল। ছবি: সংগৃহীত।
আপেল, আঙুর, পেয়ারা, শসা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফলগুলি খোসা-সহ খাওয়া যায়। ফলের খোসা সরাসরি সূর্যের আলো পায়। ফলের খোসায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, ফ্লাভোনয়েডসের মতো উপাদান, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আঙুরের খোসা ক্যানসার রুখতেও সাহায্য করে। কিন্তু ফলের রস তৈরির সময়ে বেশির ভাগ খোসা ফেলে দেওয়া হয়। ফলে রস খেলে শরীর খোসার পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়।
ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফল খেলে কিন্তু অতটা বাড়ে না। গোটা আপেল খেলে শরীরে ১২০ ক্যালোরি যায়। ফলে চাঙ্গা ও সতেজ থাকে শরীর। কিন্তু আপেলের রস বানালে তার কিঞ্চিৎ উপকারও পাওয়া যায় না। তা ছাড়া আপেলে চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ গ্রাম। গোটা ফল খেলে সেই শর্করার ততটাও প্রভাব ফেলে না শরীরে। কিন্তু বাজারচলতি অধিকাংশ ফলের রসেই আলাদা করে চিনি মেশানো হয়।
তা ছাড়া, ফলের রসে কোনও ফাইবার আর অবশিষ্ট থাকে না। আপেলে ৩.৭৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এক কাপ আপেলের রস তৈরি করতে লাগে তিন থেকে চারটে আপেল। সেই হিসাবে আপেলের রসে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকার কথা। অথচ সেই পরিমাণ ফাইবার থাকে না। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের রস নয়, সুস্থ থাকতে গোটা ফলের উপরেই ভরসা রাখা জরুরি।