কোন ৫ খাবারে বাতের ব্যথা বেড়ে যায়? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে এক টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয় অনেকেই। কাজের চাপ এতটাই যে কখনও কখনও দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও আসন ছেড়ে ওঠারও সময় হয় না। এই অভ্যাসই কিন্তু হাড়ের ক্ষতির কারণ হয়। ডেকে আনে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের মতো অসুখ। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষতি রুখতে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করাই যথেষ্ট নয়, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে হাড়ের ক্ষয় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বাতের ব্যথা থাকলে সেই খাবারগুলি একেবারেই ডায়েটে রাখা উচিত নয়। জেনে নিন, বাতের সমস্যায় ভুগলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
নরম পানীয়: অনুষ্ঠান বাড়িতে হোক কিংবা রেস্তকাঁয় কিংবা নিছক কড়া রোদে বেরিয়ে তেষ্টা মেটাতে বোতলবন্দি নরম পানীয়তে চুমুক অনেকেই। এই ধরনের পানীয়ে ফসফরিক অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। মাত্রাতিরিক্ত হারে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার ফলে ফসফরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হতে থাকে। এই অম্ল উপাদানটি হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
চিনি: শরীর চাঙ্গা রাখতে চাইলে কিন্তু ডায়েট থেকে চিনি বাদ রাখার কথা বলছেন পুষ্টিবিদেরা। রোজকার ডায়েটে চিনির মাত্রা যত কমাতে পারবেন, হাড় ততই ভাল থাকবে বলে মত তাঁদের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওবেসিটির সমস্যা ডেকে আনে না, শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়। তাই বাতের ব্যথায় ভুগলে কেবল মিষ্টিই নয়, চিনি খাওয়াও পুরোপুরি বন্ধ খরতে হবে।
৩) নুন: শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। সরাসরি হাড়ের উপর প্রভাব ফেলা ছাড়াও, নুন শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই বেশি নুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। রান্নাতেও বেশি নুন দেবেন না।
৪) নিয়ম করে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন? রোজ রোজ মদ্যপান করলে কিন্তু বাতের ওষুধ কোনও কাজ করবে না।
৫) কফি: মাথার যন্ত্রণা কমাতে কফির ভূমিকা অনেকেই স্বীকার করেন। কিন্তু, এতে থাকা ক্যাফিন হাড়ের সমস্যার কারণ হতে পারে। কম বয়সে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে বেশি কফি না খাওয়াই ভাল।