মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বৃৃদ্ধি করতে কোন খাবার রাখবেন পাতে? ছবি: সংগৃহীত।
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ছ’মাস পর্যন্ত মায়ের স্তন্যদুগ্ধ শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরি। মাতৃদুগ্ধের গুণাগুণ আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। শিশুর পুষ্টি থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে মায়ের দুধের বিকল্প হয় না।
কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায়। কখনও কখনও কোনও মায়ের স্তন্যদুগ্ধের পরিমাণ কম হয়। তাতে শিশুর পেট ভরে না। এমন অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাতেও যোগ করতে হবে পুষ্টিকর খাবার।
ওট্স
ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা ওট্স খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে। পেট পরিষ্কার থাকবে। পাশাপাশি, এতে থাকা উপাদান অক্সিটোসিন নামে হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করা হয়। যা দুগ্ধ উৎপাদনে সহায়ক।
মেথি
মেথির অনেক গুণ। শরীর সুস্থ রাখতে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খান অনেকেই। এতে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেন হরমোন মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
শাক
পালং থেকে নটে, নানা রকম শাকে থাকে ভিটামিন এ, সি, কে ও অন্যান্য খনিজ। সদ্য মায়েদের স্তন্যদুগ্ধেই শিশুর পুষ্টি হয়। এই সময় প্রসূতিদেরও শাক খাওয়া উচিত বেশী করে।
পমফ্রেট, স্যামন
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর মাছ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভাল। এতে থাকে ভিটামিন ডি। সদ্যোজাতের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য স্যামনের মতো পুষ্টিগুণসম্পন্ন মাছ খাওয়া সদ্য মায়েদের জন্য খুব জরুরি। পমফ্রেট, স্যামনে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডা থাকে প্রচুর। তবে কাতলা-সহ বিভিন্ন মাছেও মেলে পুষ্টিকর উপাদান। সুবিধামতো মাছ রাখুন প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায়।
বাদাম
আমন্ড, কাজু, আখরোট, পেস্তা– এই ধরনের বাদামে থাকে ‘গুড ফ্যাট’ ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সন্তান মাতৃদুগ্ধ পান করলে মায়েদেরও বাড়তি শক্তি ও পুষ্টির দরকার হয়। এই ধরনের বাদাম শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়।
রসুন
রসুনও মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে থাকে ‘গ্যালাক্টোগগ’ নামে উপাদান, যা দুধের উৎপাদনে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মৌরি, কিনোয়া-সহ বিভিন্ন ফল ও সব্জিও রাখতে পারেন। পুষ্টিকর খাবার এই সময় মায়েদের জন্য খুব জরুরি।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। যে কোনও খাবার নিয়মিত ডায়েটে যুক্ত করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।