আর্থ্রাইটিসের ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও ব্যথা-যন্ত্রণা শীতকালে যেন দ্বিগুণ হয়। সারা বছর বিশেষ বাড়াবাড়ি না হলেও ঠান্ডা পড়তেই কিছু ক্রনিক সমস্যা যেন জাঁকিয়ে বসে। তার মধ্যে অন্যতম হল আর্থ্রাইটিস। আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে এখন কম বয়সেই আর্থ্রাইটিস হানা দিচ্ছে। অস্টিয়ো আর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস— মূলত এই দু’ধরনের আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। তবে রোগের ধরন যেমনই হোক, ব্যথা সামলানো সহজ নয় একেবারেই। শীতকালে বাতের ব্যথা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। শীতে সুস্থ থাকতে অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধের উপর। তবে সব সময়ে ওষুধ খেয়েও ব্যথা কমানো যায় না। সে ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ায় খানিক বদল আনা জরুরি। কয়েকটি খাবার নিয়ম করে খেলে সত্যিই উপকার পাবেন।
বাদাম
আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে দিন শুরু করুন কাঠবাদাম, আখরোট খেয়ে। বাদামে রয়েছে মিনারেলস, স্বাস্থ্যকর কিছু ফ্যাট। এই উপাদানগুলি শরীরের যত্ন নেয়। পেশি দৃঢ় ও মজবুত করে। পেশির নমনীয়তা বজায় রাখতেও বাদামের জুড়ি মেলা ভার।
চাটনি
শীত কিংবা বর্ষা— শেষ পাতে একটু চাটনি হলে মন্দ হয় না। আর্থ্রাইটিস থাকলে চাটনি খেতে পারেন। উপকার পাবেন। তবে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ হিসাবে একটু অন্য রকম ভাবে চাটনি বানাতে হবে। নারকেল কুচি, রসুন, তিসির বীজ আর ধনে দিয়ে বানাতে পারেন। প্রতিটি উপাদানে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসি়ড পেশির খেয়াল রাখে। ব্যথা-বেদনা সারায়।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে দই সত্যিই উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
দই
প্রোবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ দই শুধু হজমের গোলমাল আর অম্বলের ঝুঁকি কমায় না। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে দই সত্যিই উপকারী। তা ছা়ড়া, পেশির ক্ষয় রুখতেও দই ফলদায়ক। আর্থ্রাইটিসের রোগীদের শীতে নিয়মিত দই খাওয়া জরুরি।