পেটের গোলমাল কমান পুজোর আগেই। ছবি: সংগৃহীত।
হজমপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অন্ত্র। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শারীরবৃত্তীয় নানা রকম কাজে অংশ নেওয়া— সবেতেই অন্ত্রের ভূমিকা রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতি দিন এমন কিছু খাবার নিজেদের অজান্তেই খাওয়া হয়ে যায়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করে তোলে। তাই রোজের খাওয়াদাওয়ায় একটা রাশ টানা জরুরি। কোন খাবারগুলি বেশি করে খেলে ভাল থাকবে অন্ত্র? হজমের গোলমালেও রোজ রোজ ভুগতে হবে না?
আপেল
ফল মাত্রেই তা স্বাস্থ্যকর। আপেলে পেকটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই উপাদান অন্ত্রের যত্ন নেয়। পরিপাকক্রিয়া মসৃণ হয়। হজমও দ্রুত হয়। তা ছাড়া, ফাইবারে সমৃদ্ধ আপেল হজমশক্তি উন্নত করে। প্রতি দিন একটি করে আপেল খেলে হজমসংক্রান্ত সমস্যা তো বটেই, সেই সঙ্গে দূরে থাকে আরও অসুখ-বিসুখ।
ব্রকোলি
পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সবুজ শাকসব্জির জুড়ি মেলা ভার। তবে অন্ত্রের জন্য ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ ব্রকোলি দারুণ উপকারী। হজমের গোলমাল থেকে দূরে থাকতে ব্রকোলির উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে ব্রকোলি।
চিয়া বীজ
ওজন কমাতে চিয়া বীজের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। ওজন কমানো ছাড়াও চিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। চিয়া বীজে রয়েছে ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো স্বাস্থ্যকর সব উপাদান। যা পেটের স্বাস্থ্যে ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওট্স
রোগা হতে সাহায্য করা ছাড়াও ওট্সের গুণে ভাল থাকে অন্ত্রও। ওট্সে থাকা ফাইবার হজমের গোলমালের ঝুঁকি কমায়। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ওট্স সত্যিই উপকারী। ঘন ঘন পেটের অসুখ থেকে দূরে থাকতে ওট্স খেতে পারেন নিয়মিত। তাতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার পেটের গোলমালও কম হবে।
আদা
রান্নায় স্বাদ আনতে আদার ভূমিকা অনবদ্য। তবে আদার গুণ শেষ নয় এখানেই। আদা পেট ভাল রাখে। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, আদা কিন্তু তাঁদের কাছে মহৌষধ। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহজনিত সমস্যার অবসান ঘটায়। অন্ত্রজনিত সমস্যার চটজলদি সমাধানও আদার গুণেই হবে।