ক্লান্তি দূর হবে কোন খাবার খেলে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের প্রচণ্ড ব্যস্ততায় তো বটেই, এমনকি ছুটির দিনেও ক্লান্ত লাগে সারা ক্ষণ। অনেকের ঘুম থেকে ওঠার পরেও সবচেয়ে বেশি ক্লান্তি ঘিরে ধরে। শরীরের উপর একটানা ধকল গেলে সেই ক্লান্তি দূর করার জন্য দীর্ঘ বিশ্রাম কিংবা বিরতির প্রয়োজন হয়। তা না হলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলেও অনেক সময় সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগে। তবে কারণ যা-ই হোক, ক্লান্তি দূর করতে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। কোন খাবারগুলি নিয়মিত খেলে ক্লান্তি কেটে স্ফূর্তি আসবে শরীরে?
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ড্রাই ফ্রুটস: শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। খিদে পেলে ভাজাভুজি না খেয়ে কাঠবাদাম, কিশমিশ,আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ড্রাই ফ্রুটে ৩৫৯ ক্যালোরি থাকে। শরীরে আয়রনের চাহিদা মেটাতেও দারুণ উপকারী ড্রাই ফ্রুটস।
ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকোলেটে থেরোব্রোমাইন ও ক্যাফিন থাকে। শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দিতে এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। তাই ক্লান্ত লাগলে মুখে ডার্ক চকলেট পুরে দিলেই হবে মুশকিল আসান।
টকদই: বর্ষাকালেও গরমের হাত থেকে রেহাই নেই। একটু বাইরে বেরোলেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই সময়ে পুষ্টিবিদরা টক দই খেতে বলেন। দইয়ে উপকারী শর্করা গ্যালাকটোজ আর ল্যাকটোজ থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরে শক্তির চাহিদা মেটায়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই রাখলে শরীর চাঙ্গা থাকবে।
ডিম: রোজের ডায়েটে ডিম রাখাও ভীষণ জরুরি। ডিম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনের ভাল উৎস। একটি ডিমে সাত গ্রাম ফ্যাট ও ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তা ছাড়া, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডিম খেলে শরীরে স্ফূর্তি আসে।