পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনলেই এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। প্রতীকী ছবি।
সকালে উঠে শৌচালয়ের কাজ সারতে গিয়ে এতটাই সময় লাগে যে, অফিসের জন্য রোজই দেরি হয়ে যাচ্ছে! এই সমস্যায় কিন্তু অনেকেরই ভোগেন। দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা শুধু মানসিক শান্তির ব্যাঘাতই ঘটায় না, শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে পাইলস বা অর্শের মতো রোগ। এই সমস্যা কেবল বয়স্কদের নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যায়। অথচ এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে কেউই চান না। চিকিৎসকের কাছে যেতেও অস্বস্তি বোধ করেন। ফলে রোগের প্রকৃতি আরও জটিল হতে থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনলেই এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। কী খাবেন আর কী খাবেন না, রইল তার হদিস।
কী খাবেন না?
১) অর্শ থাকলে দুধ, পনির ও চিজ়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার মাত্রায় রাশ টানুন। উপকার মিলবে।
২) পুষ্টিবিদদের মতে, পাঁঠার মাংস খাওয়া অর্শ রোগীদের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন হ্যাম, সসেজ়, বেকনও বাড়িয়ে দিতে পারে অর্শের সমস্যা। শুধু মাংস নয়, প্রক্রিয়াজাত যে কোনও খাবারই অর্শের সমস্যা বাড়ায়।
৩) বিকেল হলেই মুড়ির সঙ্গে চপ না হয় শিঙাড়া! বেশি তেলেভাজা খেলেও অর্শরোগীদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
৪) খাবারে অত্যধিক তেল, মশলা আর নুন থাকলে পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে। অর্শ থাকলে তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) মদ্যপান বন্ধ না করলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই পার্টি উদ্যাপনের সময়ে মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও শাকসব্জি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। প্রতীকী ছবি।
কী খাবেন?
১) দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও শাকসব্জি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এগুলি নিয়মিত খেলে অর্শরোগীদের কষ্ট অনেকটাই কমতে পারে। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত মাত্রায় ফাইবার থাকছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
২) জল কম খাওয়ার অভ্যাস অর্শের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। পর্যাপ্ত জল শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কোষ্ঠ নরম করে।
৩) গোটা শস্য থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য খেতে পারেন। ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল খেতে পারেন।
৪) বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, কড়াইশুঁটি ও রাজমার মতো খাদ্য অর্শ রোগীদের জন্য আদর্শ।