শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে গলা শুকিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে বসের বকাঝকা শুনে গলা শুকিয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই মাঝেমাঝে মুখের ভিতর, গলা শুকিয়ে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে এমন হয়। তা ছাড়া বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। আবার নিয়মিত ধূমপান কিংবা মদ্যপানের কারণেও এমন হয়। ‘জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিত ধূমপান বা মদ্যপান করলে মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়। তার ফলে হতেই পারে এমন সমস্যা। তবে কারণ যা-ই হোক, ঘন ঘন গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে কিছু খাবার এ়ড়িয়ে চলা প্রয়োজন। নয়তো সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
টক খাবার
গলা-মুখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে টক কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। এর ফলে লালার পরিমাণ আরও কমে যায়। লালা কম থাকায় মুখ শুকিয়ে যেতে থাকে। এ ধরনের সমস্যা থাকলে ভিনিগার, টক কোনও ফল, আচার যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভাল।
শুকনো খাবার
কথায় কথায় গলা শুকিয়ে যায়? তা হলে শুকনো খাবার খাওয়ার দরকার নেই। বিস্কুট, কেক খেলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এগুলির সঙ্গে যদি চা কিংবা কোনও তরল পানীয় খেতে পারেন, তা হলে ঠিক আছে। কিন্তু শুধু খেলে মুশকিল হতে পারে।
নোনতা খাবার
জল খাওয়ার পরেও গলা শুকিয়ে গেলে নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন। নুন লালা শোষণ করে নেয়। লালার অভাবে জিভ-গলা বেশি শুকিয়ে যায়। নুনে থাকা সোডিয়াম গলা শুকিয়ে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল।