রোগা হওয়ার নয়া উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা রোগা হওয়ার অন্যতম ধাপ। কিন্তু চটজলদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তুরুপের তাস হল খাওয়াদাওয়ায় কড়া নজরদারি। ভোজনরসিকদের জন্য এই নিয়ম মেনে চলা কষ্টকর। তবে কয়েক দিন যদি ইচ্ছেমতো খাওয়াদাওয়ায় খানিকটা রাশ টানা যায়, তা হলে শরীরও ছিপছিপে থাকবে। তবে তার জন্য উপোস করে থাকলে চলবে না। কিংবা নুন ছাড়া ওট্স, মিলেট খাওয়ারও দরকার নেই। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, রাতে যদি কিছু খাবার খাওয়া বন্ধ করা যায়, তা হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। ডায়েট না করে এ ভাবেও যে রোগা হওয়া যায়, তা অনেকেরই অজানা। অতএব, ওজন নিয়ে সচেতন হলে রাতে কোন খাবারগুলি খাবেন না?
কাঁচা স্যালাড
অনেকেই ডায়েটের চক্করে রাতে স্যালাড খান। তবে কাঁচা শাকসব্জির স্যালাড রাতে না খাওয়াই ভাল। শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। রাতে ফাইবার হজম করতে অনেকেরই বেশ সমস্যা হয়। হজম না হলে মেদ জমার ঝুঁকি থাকে। দুপুরে বা সকালে কাঁচা স্যালাড খেতে পারেন, কিন্তু রাতে অল্প অলিভ অয়েলে নাড়াচাড়া করে খান।
চকোলেট ও কফি
এই দুই খাবারেই অনেক বেশি মাত্রায় ক্যাফিন থাকে। রাতে চকোলেট, কফি জাতীয় জিনিস খেলে ক্যাফিনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অনেকের রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস। ঘুম কাটাতে কাপের পর কাপ কফি খেয়ে যান তাঁরা। এই অভ্যাস কিন্তু অনিদ্রার সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আর ঘুম না হলে বাড়তে থাকে ওজন।
আটা-ময়দা
রাতে অনেক বাড়িতেই রুটি হয়। কারও বাড়িতে আটার রুটি হয়, কেউ আবার ময়দার রুটি খেতে পছন্দ করেন। তবে আটা-ময়দার তৈরি যে কোনও খাবার হজম করতে বেশ সময় লাগে। যাঁদের অনেক রাত করে খাওয়ার অভ্যাস, তাঁদের আটা-ময়দার তৈরি খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল। এতে হজমের সমস্যা হয়। স্থূলতার ঝুঁকি থাকে।