ঘরের উষ্ণতায় মাস দুয়েকের বেশি কৌটোতে বাদাম ভরে রাখা উচিত না। ছবি: সংগৃহীত
অফিসের চাপে অনেকেই রোজ বাজার করতে যাওয়ার সময় পান না। তাই কিছু কিছু খাবার একসঙ্গে অনেকটা কিনে রেখে দেওয়ার চল রয়েছে বাঙালি বাড়িতে। রেফ্রিজারেটর না থাকলেও অনেকেই কৌটো করে সে সব খাবার দীর্ঘ দিন তাকে তুলে রেখে দেন। অথচ এ ভাবে দিনের পর দিন রেখে দিলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে খাদ্য গুণ। কোন কোন খাবার রেখে দেওয়া চলবে না?
বাদাম
অনেকেই দিনের পর দিন বেশ কিছু পরিমাণ বাদাম কৌটোয় করে ভরে রাখেন। মোটেই ভাল না এই অভ্যাস। বাদাম মূলত ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ দিয়ে তৈরি। ফ্যাট বেশি দিন রেখে দিলে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই ঘরের উষ্ণতায় মাস দুয়েকের বেশি কৌটোতে বাদাম ভরে রাখা উচিত না।
অলিভ অয়েল
দীর্ঘ ক্ষণ আলোতে থাকলে অলিভ অয়েল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া গরমও অলিভ অয়েলের বড় শত্রু। ভারতের পরিবেশে তাই এক বার ছিপি খোলার পর মাস ছয়েকের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে তেলের বোতল। তার পর স্বাদ গন্ধ চলে যাবে একেবারেই।
দীর্ঘ ক্ষণ আলোতে থাকলে অলিভ অয়েল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
চা
যাঁরা প্যাকেটজাত চা খান, সেই প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে মেয়াদ। কিন্তু এখনও বহু মানুষ বাজার থেকে সরাসরি খোলা চা কেনেন। এই ধরনের খোলা চা সাধারণত কৌটোয় করে রেখে দেওয়া হয়। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলে সেই চা আর না খাওয়াই ভাল। চায়ের পাতায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক তেল থাকে যার সময় সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল
ঢেঁকি ছাঁটা চাল সাধারণ চালের থেকে পুষ্টিগুণে কিছুটা হলেও এগিয়ে। কিন্তু এই চালের দামও বেশি। তাই অনেকেই দীর্ঘদিন এই চাল রেখে দেন বাড়িতে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, ফ্রিজে রাখলে ১ বছর, আর সাধারণ উষ্ণতায় ৬ মাসের বেশি ভাল থাকে না এই চাল।