দৈনন্দিন জীবনে মাইক্রোওয়েভ অন্যতম নির্ভরতা হলেও এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ টানা উচিত। ছবি: সংগৃহীত
হেঁশেলে মাইক্রোওয়েভ ওভেন না থাকলে অনেক গৃহিনীই দিশেহারা হয়ে পড়েন। খাবার গরম করা, অল্প তেলে অথবা তেল ছাড়া রান্না করা, কিংবা বেকিংয়ের জন্য অনেকেই মাইক্রোওয়েভের উপর ভরসা রাখেন। কিন্তু জানেন কি বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নিয়মিত মাইক্রোওয়েভে রান্না খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়!
যাঁরা দীর্ঘ দিন মাইক্রোওয়েভে রান্না করছেন, এই যন্ত্রটি ছাড়া চোখে অন্ধকার দেখেন তাঁদের সতর্ক হওয়ার সময় হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে মাইক্রোওয়েভ অন্যতম নির্ভরতা হলেও এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ টানা উচিত। এমন বেশ কিছু খাবার আছে যা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা কখনই উচিত নয়। জেনে নিন কী কী।
১) দুধ: মাইক্রোওয়েভে দুধের কোনও খাবার গরম করবেন না। কারণ, এতে দুধের মধ্যে থাকা কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি, দুধে থাকা উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড পরিবর্তিত হয়ে কার্সিনোজেনিক সাবস্ট্যান্স তৈরি করে। কার্সিনোজেনিক নামক বিষাক্ত রাসায়ানিক ক্যানসার ডেকে আনে।
২) প্রক্রিয়াজাত খাবার: যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য তাতে বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে। মাইক্রোওয়েভে সেই খাবার গরম করলে কোলেস্টেরল অক্সিডেশন যৌগ উৎপন্ন হয়। এই যৌগ শরীরে গেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
প্রতীকী ছবি
৩) ভাত: অনেকেই খাওয়ার আগে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ভাত গরম করে খান। এই অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। অনেক সময় এই ভাত খেলে পেটে বিষক্রিয়া হতে পারে। ভাত গরম করলে তাতে ব্যাসিলাস সেরেসাস নামক ব্যক্টেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যক্টেরিয়া শরীরে গিয়ে টক্সিন উৎপন্ন করে। এর ফলে ডায়ারিয়া, পেটের সমস্যা হতে পারে।
৪) মুরগির মাংস: অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে মুরগির মাংস সেদ্ধ করে খান? মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার তৈরির সময় যে তাপ উৎপন্ন হয় তা অনেক সময় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলতে অক্ষম। মুরগির মাংসে সালমোনেল্লা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এই প্রকার ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে পেটের গন্ডগোল অবধারিত।
৫) শাক: বিভিন্ন ধরনের শাকে প্রচুর মাত্রায় নাইট্রেট থাকে যা শরীরের জন্য বেশ ভাল। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে শাক গরম করলে নাইট্রোসামাইন নামক যৌগ উৎপন্ন হয় যা শরীরে ক্যানসারের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।