মাথাব্যথার মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে খাওয়াদাওয়াতেও বদল আনা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
কর্মেক্ষেত্রের চাপ, ব্যক্তিগত কারণে মানসিক উদ্বেগ, অপর্যাপ্ত ঘুম, ঋতু বদল— মাথাব্যথার কারণের শেষ নেই। অফিসে বসে মনোযোগ সহকারে কাজ করছেন। হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হল মাথাযন্ত্রণা। অগত্যা সেই ব্যথার সঙ্গে লড়তে অস্ত্র হিসাবে বেছে নেন ‘পেনকিলার’ জাতীয় কিছু ওষুধ। মাথাব্যথার আবার বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। সকলেরই মাথাব্যথার কারণ এক নয়। সাইনাস, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের কখন, কোন পরিস্থিতি মাথা যন্ত্রণা শুরু হবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। তবে যে কারণেই হোক, এই ব্যথা সহজে যেতে চায় না। হয় কিছু ক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে হবে, নয়তো ব্যথানাশক ওষুধ— এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। একেবারে যে নেই, তা কিন্তু নয়।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাথাব্যথার মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে খাওয়াদাওয়াতেও বদল আনা জরুরি। রোজ যা খান, সেই তালিকায় কয়েকটি খাবার শুধু যোগ করতে হবে। তা হলেই মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মিলতে পারে মুক্তি। মাথা যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে কোন খাবারগুলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা?
টক দই রক্ত প্রবাহ সচল রাখে। ছবি: সংগৃহীত
দই ভাত
টক দই এমনিতেই শরীরের অনের রোগবালাইয়ের সঙ্গে সহজে মোকাবিলা করে। অফিসের টিফিনে কিন্তু রাখতে পারেন দই ভাত। শরীরের চনমনে ভাব বজায় রাখতে এই খাবার বেশ উপকারী। টক দই রক্ত প্রবাহ সচল রাখে। রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে দেয় না।
সতেজ ফল
শীত পড়ব পড়ব করছে। বাজারে শীতাকলীন বেশ কিছু ফল এখন থেকেই দেখা দিতে শুরু করেছে। রোজের খাবারে এই সময়ে ফল রাখুন। বিশেষ করে যে সব ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি, তেমন কিছু ফল বেশি করে খান। মাথাব্যথা তো কমবেই, ভিতর থেকে ফিট থাকতে ভরসা রাখতেই হবে ফলে।
সুস্থ থাকতে বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
গুলকন্দ দুধ
মশলা পান খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের কাছে গুলকন্দ খুব পরিচিত নাম। গোলাপের পাপ়ড়ি দিয়ে মূলত তৈরি হয় এই গুলকন্দ। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ-সমৃদ্ধ এই খাবারের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন। একটা জমাটি ঘুম হবে। নিয়মিত খেতে পারলে চুল এবং ত্বকও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল
জল না খেলে শুধু মাথাব্যথা কেন, আরও অনেক সমস্যা শরীরের অন্দরে দেখা দিতে পারে। তাই কাজের চাপ থাকলেও জল খাওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না। জল শরীরের অন্দরে নানা ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করে। জলের ঘাটতি দেখা দিলে নানা অসুখ-বিসুখের জন্ম হয়। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয় শরীর। সুস্থ থাকতে বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন।