কোন খাবার পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না? ছবি: শাটারস্টক।
শরীরের কাজকর্ম ঠিকঠাক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চাই শক্তি। সেই শক্তির মূল উৎস হল পুষ্টিকর খাবার। শরীর চালানোর জন্য এই শক্তি বাবদ যতটা ক্যালোরি দরকার, খাবারে যদি তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে, তা হলেই শরীরের আনাচকানাচে মেদ জমতে শুরু করে। পুষ্টিবিদদের কাছে গেলেই তাঁরা ওজন কমানোর জন্য ‘লো ক্যালোরি’ কিংবা কম ক্যালোরি রয়েছে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। শরীরে ক্যালোরির মাত্রা কম ঢুকলে, জমা মেদ থেকে শরীর শক্তি তৈরি করতে শুরু করে। ফলে মেদের পরিমাণ কমতে থাকে।
সুন্দর ছিপছিপে চেহারা পেতে অনেকেই ক্যালোরি-শূন্য খাবার খোঁজেন। কিন্তু ক্যালোরি-শূন্য খাবার বলে কিছু হয় না। তবে যদি এমন খাবার খাওয়া যায়, যাতে ক্যালোরির পরিমাণ শরীরের চাহিদার চেয়ে অনেকটা কম, তা হলে মেদ কমবে। রইল তেমনই কিছু খাবারের হদিস।
গাজর: ১০০ গ্রাম গাজর রোজকার ভিটামিন এ-র চাহিদা পুরোপুরি মিটিয়ে দেয়। কাঁচা গাজর স্যালাডের সঙ্গে খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। ১০০ গ্রাম গাজর থেকে মাত্র ৪১ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। ফলে এটি মেদ তো বাড়ায় না, বরং কমায়। মাঝেমধ্যেই গাজরের স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন।
পুষ্টিবিদদের কাছে গেলেই তাঁরা ওজন কমানোর জন্য ‘লো ক্যালোরি’ কিংবা কম ক্যালোরি রয়েছে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। ছবি: সংগৃহীত।
বিট: ডায়েটের সময় মাঝেমধ্যেই খিদে পায়। খিদে পেলে বিটের স্যালাড সহজেই খেতে পারেন। পেট ভরবে। অথচ যে ক্যালোরি শরীরে যাবে, তার মাত্রা অত্যন্ত কম। ১০০ গ্রাম বিট খেলে শরীরে মাত্র ৪৩ ক্যালোরি শক্তি যায়। ওজন কমানোর ডায়েটে বিটও একটা আদর্শ উপাদান।
শসা: খাবার হজম করতে সাহায্য করে শসা। তাই পাতে শসার কদর ভালই। এতে ক্যালোরির মাত্রা খুব কম। ১০০ গ্রামে মাত্র ১৩ ক্যালোরি থাকে। স্যালাডে শসা খাওয়া ছাড়াও শসার সব্জি বানিয়েও খেতে পারেন।
পালং শাক: এই শাকে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে ভাল মাত্রায়। এ ছাড়া কে, এ-র মতো ভিটামিনও থাকে প্রচুর পরিমাণে। অথত এই শাকের ক্যালোরির মাত্রা খুব কম। ১০০ গ্রামে মাত্র ২৫ ক্যালোরি। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এই কারণেই পালং শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাশরুম: ক্যালোরির মাত্রা মাশরুমেও খুব কম। ১০০ গ্রাম মাশরুম থেকে মাত্র ২২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। ফলে মাশরুম বেশি মাত্রায় খেলেও মেদ জমে না। উল্টে মেদ কমে।