পুজোর ভিড়েও চাঙ্গা থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ— প্যান্ডেলগুলিতে জনস্রোত। দেবীপক্ষ শুরু হতেই প্যান্ডেলগুলিতে ঠাকুর চলে এসেছে। শহরবাসীও তাই আর দেরি করেননি। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। তবে সারা শহর ঘুরে ঠাকুর দেখার যেমন মজা আছে, তেমনই ক্লান্তিও কম নেই। পুজোর শহরে গণপরিবহন চলাচল প্রায় বন্ধ। ফলে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যেতে পায়ে হাঁটা ছ়াড়া উপায় নেই। হেঁটে ঠাকুর দেখতে তাই চনমনে থাকা জরুরি। অনেক সময় বাড়তি উত্তেজনায় অল্প পরিশ্রমেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। রাতভর ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করে বেরিয়ে যদি ক্লান্তির কারণে বা়ড়ি চলে আসতে হয়, তা হলে পুজোর মজাটাই মাটি। তবে পুজোর সময় নিজেকে চাঙ্গা রাখতে বরং খেতে পারেন কয়েকটি খাবার। রইল তার হদিস।
ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটসের উপকারিতা বহুমুখী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া শরীরে বাড়তি এনার্জি জোগাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ঠাকুর দেখতে বেরোলে সঙ্গে রাখতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। কয়েক মাইল রাস্তা অনায়াসে পার করে দিতে পারবেন। রাস্তার চাউমিন, এগরোল, মোমোর চেয়ে বরং পেট ভরাতে ভরসা রাখুন ড্রাই ফ্রুটসের উপর।
ফাইবার
শরীর সুস্থ রাখতে উপকারী একটি উপাদান হল ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমানো থেকে ওজন বশে রাখা, ফাইবারের উপকারিতার শেষ নেই। চনমনে থাকতে তাই বেশি করে ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। ব্রকোলি, বিভিন্ন ধরনের শাক, চিয়া বীজ, তুলসীর বীজে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এগুলি খেলে ক্লান্তি কাটবে দ্রুত। শরীরও চাঙ্গা থাকবে।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার যে শরীরের যত্ন নেয় তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই নিয়ম করে দুধ, দই, পনির খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দুধে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। শুধু হাড়ের যত্ন নেয় না, ক্যালশিয়াম শরীর চাঙ্গা রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া এই ধরনের খাবার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।