কেবল সূর্যরশ্মি ভিটামিন ডি-র একমাত্র উৎস নয়। ছবি: সংগৃহীত
শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান হল ভিটামিন ডি। তা শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। ভিটামিন ডি শরীরে পযার্প পরিমাণে থাকলে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, বিভিন্ন সংক্রণণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বিকাশেও ভিটামিন ডি-র গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন ডি-র উৎস হল সূর্যালোক। কিন্তু শীতকালে সূর্য খুব কম সময়ের জন্যেই থাকে। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। তাতেই শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়।
এই ভিটামিন ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়াও, শরীরের পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তবে কেবল সূর্যরশ্মি ভিটামিন ডি-র একমাত্র উৎস নয়। রোজের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুগ্ধজাত খাবারে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত কয়েক দিন খেতে পারেন এই ধরনের খাবার। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হলে, তা সহজেই পূরণ হবে। হাড় মজবুত করতে ও শরীর চনমনে রাখতে খেতে পারেন দুধ, দই, ছানার মতো কিছু খাবার।
রোজের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটানো সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত
মাছ
শীতের মরসুমে শরীরে ভিটামিন ডি-র সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয়, সে কারণে বেশি করে খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ। এই ধরনের মাছ রোজের ডায়েটে রাখলে ক্যালশিয়াম ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ঘাটতি মেটে। হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই মাছ খেতে পারেন। মিলবে উপকার।
মাশরুম
শীতকালে প্রতিরোধ শক্তি এমনিতেই কম থাকে। হাড়ের কার্যক্ষমতাও কমে যেতে থাকে। তাই এই মরসুমে ভিটামিন ডি শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সূর্যের আলোর অভাবে এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না। তাতে অবশ্য চিন্তা নেই। শীতে বেশি করে খান মাশরুম। এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম থাকে। পাশাপাশি, উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মাশরুমেও ভিটামিন ডি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।
ওট্স
যে কোনও দানাশস্যে ভিটামিন ডি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। শীতকালে রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন ওট্স। সকালের জলখাবারে দুধ ওটস খেতে পারেন। তাতে কাঠবাদাম, খেজুর, আখরোটের মতো কিছু ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে নিলে ভাল। কারণ ড্রাই ফ্রুটসও ভিটামিন ডি-র উৎস।
পালং শাক
শীতকালে যে কোনও শাকসব্জি খুব সতেজ থাকে। ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে ভরসা রাখতে পারেন পালংশাকের উপর। পালংশাকে শাকে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম থাকে। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই পালংশাক রাখা জরুরি।