কাঁচা হলুদ হয়ে উঠতে পারে দ্বিগুণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে কমবেশি সকলেই মোটামুটি ওয়াকিবহাল। পেটের গোলমাল কমানো থেকে রক্ত পরিষ্কার রাখা, সবেতেই কাঁচা হলুদের ভূমিকা রয়েছে। কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্যেও ভীষণ উপকারী। সুস্থ থাকতে কাঁচা হলুদ খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে শুধু কাঁচা হলুদ খেলে হবে না। সঙ্গে খেতে হবে বেশ কিছু খাবার। তা হলে কাঁচা হলুদের সুফল আরও বেশি করে পাবে শরীর।
আদা
হলুদ এবং আদার যুগলবন্দি শরীরের জন্য বেশ ভাল। দুটোতেই রয়েছে ইন-ফ্লেমেটরি উপাদান। আদা-হলুদের পানীয় রোজ খেতে পারলে প্রদাহজনিত সমস্যা দূরে চলে যায়।
গোলমরিচ
হেঁশেলের অন্যতম উপকারী উপকরণ। গোলমরিচে রয়েছে পিপারিন, যা হলুদের সঙ্গে মিশে শরীরের সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্য করে। হলুদ আর এক চিমটে গোলমরিচের গুণে বদলে যেতে পারে জীবন।
নারকেল দুধ
হলুদের সঙ্গে নারকেল দুধের যে কোনও সম্পর্ক আছে, তা অনেকেই জানেন না। তবে নারকেল দুধে হলুদ মিশলে শরীর পায় অনেক সুফল। নারকেল দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে পাওয়া যাবে অনেক সুফল। রান্নায় নারকেলের দুধে হলুদ মিশিয়ে দিলে স্বাদ বাড়ে।
লেবুর রস
লেবুর রস আর হলুদ স্বাস্থ্যকর জুটি। দুটোরই ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে একসঙ্গে মিশলে অভাবনীয় উপকারিতা পাওয়া যায়। লেবুর রসে হলুদ মিশিয়ে খেলে পেটের গোলমাল দূরে চলে যায়। ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ত্বকে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়।
দই
হলুদের সঙ্গেও নির্দ্বিধায় খাওয়া যেতে পারে টক দই। দই এবং হলুদের যুগলবন্দি শরীরে সার্বিক উন্নতিতে সাহায্য করবে। দু’টোই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। দই শুধু খেলে তো উপকার পাওয়া যাবেই, হলুদ মিশিয়ে খেলেও কম লাভবান হওয়া যায় না।