নাক ডাকা কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। অবশ্য যাঁর এই সমস্যা রয়েছে, তিনি বিশেষ টের পান না। সেই ডাক যাঁরা শোনেন, তাঁদের বিরক্তির উদ্রেক হয়। তবে অনেকেই এই নাক ডাকার সমস্যাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। নাক ডাকার কারণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কিছু ধারণাও পোষণ করেন কেউ কেউ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নাক ডাকা কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। কিংবা আগে থেকে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে, আরও জটিল হতে পারে পরিস্থিতি।
নাকের ভিতর শ্বাস চলাচলে বাধা পেলে কিংবা গলার পিছন দিকে আলজিভের দিকের টিস্যু কোনও কারণে অত্যধিক ঢিলে হয়ে গেলে, এমন আওয়াজ বেরোতে পারে। তবে যে কারণেই হোক, এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি। তার জন্য রোজের পাতে রাখতে হবে কয়েকটি খাবার। যেগুলি নাক ডাকার সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে।
মধু
সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা এড়াতে মধু খুবই উপকারী। তবে নাক ডাকার সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতে পারে মধু। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ মধু নাকের ভিতর পরিষ্কার রাখে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক কাপ গরম জলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
হলুদ
নাক ডাকার সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে হলুদ। স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে হলুদ অনেক এগিয়ে। গলায় এবং নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা বাইরে বার করে দিতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া রক্ত চলাচল ঠিক রাখতেও হলুদ দারুণ উপকারী। নাক ডাকার সমস্যা থাকলে দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
গলায় এবং নাকে জমে থাকে শ্লেষ্মা বাইরে বার করে দিতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
পেঁয়াজ
নাক ডাকার সমস্যা রুখতে অবশ্যই ভরসা রাখতে পারেন পেঁয়াজের উপর। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান নাক ডাকার সমস্যা ঠেকাতে পারে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেও পেঁয়াজ উপকারী। রান্নায় পেঁয়াজ দেওয়া ছাড়াও, নাক ডাকার সমস্যা থাকলে রাতের খাবারের সঙ্গেও কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন।