বাড়ন্ত বয়সে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান সন্তানকে। ছবি: সংগৃহীত।
শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখার সময়ে হরমোনের তারতম্য ঘটে। যার ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে এই বয়সে। বয়ঃসন্ধির সময়ে সন্তান যাতে সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তার জন্য তার খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। বেড়ে ওঠার সময়ে সঠিক পুষ্টি না পেলে, পরবর্তীকালে তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। উচ্চতা থেকে ওজন, কিছুই বয়স উপযোগী না-ও হতে পারে। ছোটরা বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। স্কুল থেকে ফেরার পথে হোক কিংবা কোথাও বেরোলে, বাইরের খাবার খাওয়ার বায়না ধরে। বাড়ন্ত বয়সে বাইরের খাবার যত কম খাওয়ানো যায়, ততই ভাল। তবে বাড়িতে যদি কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়াতে পারেন, তা হলে বাইরের খাবার খেয়েও সুস্থ থাকবে সন্তান।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল
চিকিৎসকরা ছোটদের সব ধরনের মরসুমি ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তবু তার মধ্যেও প্রতি দিন সাইট্রাস জাতীয় ফল থাকলে ভাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ধরনের লেবুতেই যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়াও স্ট্রবেরি, আঙুর, কিউয়িতেও ভিটামিন সি থাকে।
খেজুর
শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখার সময়টাতে শরীরের অন্দরে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়। যার ফলে শারীরিক নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে পারে আপনার সন্তান। এই সব সমস্যা দূর করতে ছোট থেকেই খেজুর খাওয়াতে পারেন। খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিতর থেকে ফিট রাখে। বাড়তি শক্তি জোগায়।
আমলকি
ঋতু পরিবর্তনের ফলে যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলি হয়, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে ছোট থেকেই আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শুধু সর্দি-কাশি নয়, হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা নির্মূল করে।
মিষ্টি আলু
সব তরকারিতে একটা জিনিস থাকবেই। তা হল আলু। কিন্তু শিশুদের খাবারে এই সাধারণ আলুর পরিবর্তে রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু ব্যবহার করলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেড়ে যায়। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন, ফাইবার ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।