মোটা হতে না চাইলে কোন খাবারগুলি বেশি করে খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাগে টিফিন রয়েছে। কিন্তু তা বার করে খাওয়ার সময়টুকু পাচ্ছেন না। অনেক সময় কাজের চাপে খাবার খাওয়ার কথাও মনে থাকে না। কাজের চাপ, তার উপর দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকা, সব মিলিয়ে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে এই অনিয়মের। এ দিকে ভিতর থেকে ফিট না থাকলে কাজের গতিও কমে যায়। কাজের গুণগত মানও কমে যেতে থাকে। অনেকেই আবার কাজের ফাঁকে খিদে মেটাতে বাইরে থেকেও খাবার আনিয়ে নেন। মাঝেমাঝেই বাইরে খাবার খাওয়া এবং দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। মোটা হতে না চাইলে কোন খাবারগুলি বেশি করে খেতে পারেন?
অফিসে উপোস করলেও বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন প্রকার ডাল
ডাল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। মুগ, মুসুর, অড়হড়, বিউলির ডাল— অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রকার ডাল কিন্তু চটজলদি পুষ্টি গ্রহণের অন্যতম উৎস। ব্যস্ততা থাকলেও তাই রোজকার খাবারে রাখুন ডাল। রুটি আর ডাল কিন্তু বেশ স্বাস্থ্যকর টিফিন হতে পারে।
সাদা ভাত ও রুটি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা ভাত খান না অনেকেই। কেউ কেউ আবার এড়িয়ে চলেন রুটিও। কিন্তু ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে ভাত, রুটির জুড়ি মেলা ভার। পরিমাণে অল্প হোক, কিন্তু রোজকার খাবারে ভাত অথবা রুটি যেন অবশ্যই থাকে।
স্বাস্থ্যকর কিছু জলখাবার
মাঝেমাঝে মুখ চালাতে বা একটানা কাজের পর সন্ধের মুখে হঠাৎ পাওয়া খিদে মেটাতে চপ, শিঙাড়া, পিৎজা, বার্গারের বদলে ভরসা রাখতে পারেন বাদাম, স্মুদি, গ্র্যানোলা, ড্রাই ফ্রুটস, প্রোটিন বারের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারের উপর।
শাকসব্জি ও ফল
সুস্থ থাকতে সবুজ শাকসব্জি ও ফলের বিকল্প নেই। তাই অফিসের টিফিনে বাইরে থেকে মুখরোচক ভাজাভুজি কিছু না আনিয়ে বরং একটা বা দুটো মরসুমি ফল খান। অল্প সময় বার করে অল্প তেল আর সব্জি দিয়ে বানিয়ে আনতে পারেন কোনও স্বাস্থ্যকর পদ।