দইয়ের বহুবিধ গুণ থাকলেও ভুল খাবারের সঙ্গে দই খেলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
শীতকালে অনেকেই দই খেতে চান না। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে এড়িয়ে চলেন এই উপকারী খাবারটি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধারণার আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। শীত কিংবা গ্রীষ্ম— বছরের যে কোনও সময়ই টক দই খাওয়া যেতে পারে নিশ্চিন্তে। এতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সংক্রমণের প্রকোপ কমে। শরীরের অন্দরে আরও অনেক সমস্যার সমাধান মেলে দ্রুত। সেই কারণে রোজের পাতে টক দই রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। তবে দইয়ের বহুবিধ গুণ থাকলেও ভুল খাবারের সঙ্গে দই খেলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। সেই তালিকায় কী কী রয়েছে?
পেঁয়াজ
টক দই ও পেঁয়াজ একসঙ্গে খেলে অ্যালার্জি, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে বমিও। বিশেষত গরমকালে এই দুটি কখনওই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। রায়তা বানানোর সময় অনেকেই পেঁয়াজ ব্যবহার করেন, পুষ্টিবিদদের মতে, পেঁয়াজ ছাড়াই রায়তা খাওয়া ভাল।
আম দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, আর টক দইয়ের কাজ ঠিক তার উল্টো। প্রতীকী ছবি।
মাছ
একাধিক বাঙালি রান্নায় মাছের সঙ্গে টক দই মেশানো হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দু’টি একসঙ্গে খেলে হতে পারে পেটের সমস্যা। দেখা দিতে পারে ত্বকের সমস্যাও। তাই মাছের যে কোনও পদ রান্নার সময় দই এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।
আম
আম দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, আর টক দইয়ের কাজ ঠিক তার উল্টো। কাজেই দু’টি একসঙ্গে খেলে পেটের গন্ডগোল থেকে শরীরে টক্সিন জমা— শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে।
ভাজাভুজি
অনেক সময় রেস্তরাঁয় ভাজাভুজির সঙ্গে ডিপ হিসাবে দই দেওয়া হয়। খেতে ভাল লাগলেও শরীরের পক্ষে তা মোটেই ভাল নয়। সকলেই জানেন, খাবার পর দই খেলে হজমে সুবিধা হয়। কিন্তু ভাজাভুজির সঙ্গে দই খেলে হজমপ্রক্রিয়া স্লথ হয়ে যায়।