রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই।
গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, রোজকার পাতে দই থাকে অনেকেরই। রান্নাতেও ব্যবহার করেন কেউ। কেউ আবার খান দুধের বিকল্প হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলেই সহজ হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, এই কথা মাথায় রেখেই রোজের পাতে দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। দইয়ের একাধিক গুণ থাকলেও ভুল খাবারের সঙ্গে টক দই খেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। জেনে নিন, কোন কোন খাবারের সঙ্গে টক দই না খাওয়াই শ্রেয়।
১) পেঁয়াজ
টক দই ও পেঁয়াজ একসঙ্গে খেলে অ্যালার্জি, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে বমিও। বিশেষত গরমকালে এই দুটি কখনওই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। রায়তা বানানোর সময় অনেকেই পেঁয়াজ ব্যবহার করেন, পুষ্টিবিদদের মতে, পেঁয়াজ ছাড়াই রায়তা খাওয়া ভাল।
২) মাছ
একাধিক বাঙালি রান্নায় মাছের সঙ্গে টক দই মেশানো হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দু’টি একসঙ্গে খেলে হতে পারে পেটের সমস্যা। দেখা দিতে পারে ত্বকের সমস্যাও। তাই মাছের যে কোনও পদ রান্নার সময় দই এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।
প্রতীকী ছবি।
৩) আম
আম দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, আর টক দইয়ের কাজ ঠিক তার উল্টো। কাজেই দু’টি একসঙ্গে খেলে পেটের গন্ডগোল থেকে শরীরে টক্সিন জমা— শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে।
৪) ভাজাভুজি
অনেক সময় রেস্তরাঁয় ভাজাভুজির সঙ্গে ডিপ হিসাবে দই দেওয়া হয়। খেতে ভাল লাগলেও শরীরের পক্ষে তা মোটেই ভাল নয়। সকলেই জানেন, খাবার পর দই খেলে হজমে সুবিধা হয়। কিন্তু ভাজাভুজির সঙ্গে দই খেলে হজমপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।