বয়স নির্বিশেষে শরীর ভাল রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
বছর ৫০-এর সৌমাভ দাশগুপ্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কাজের চাপে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার বিশেষ সুযোগ পান না। দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় অফিসেই। ফলে পেট ভরাতে বাইরের খাবারদাবারই ভরসা। দীর্ঘ দিন এই খাদ্যাভ্যাসের ফলে তাঁর খানিকটা ওজনও বে়ড়ে গিয়েছিল। বাড়তি ওজনের কারণে হাঁটুতে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।এই বয়সে জিমে গিয়েওজন কমানোর বিশেষ ভরসা পাচ্ছিলেন না। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদের দারস্থ হন। মাস দুয়েক তিনি পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো বিশেষ ‘ডায়েট’ মেনে চলে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলেন।
ওজন কমানোর প্রয়োজনীয়তা শুধু কমবয়সিদের জন্য নয়। বয়স বাড়লেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
বয়স ৫০ পেরোলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের ‘ডায়েট’ মেনে চলবেন?
বয়স বাড়লেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান বেশি করে
বয়স নির্বিশেষে শরীর ভাল রাখতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও প্রভূত সাহায্য করে প্রোটিন।দিনের শুরুর খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রাতরাশে খেতে পারেন ভরপুর প্রোটিন সমৃদ্ধ ওটস। শুধু প্রোটিনই নয়, ওট্স শরীরে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদান করে।
দু্গ্ধজাত খাবার খান
বয়স বাড়লে অনেকেই দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। এ ধরনের খাবারে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় ও পেশি মজবুত রাখে। ওজন কমাতেও দারুণ কার্যকর।
শাকসব্জি ও ফল বেশি করে খান
শরীর সুস্থ রাখতে শাকসব্জি ও ফলের বিকল্প নেই। ব্রকোলি, গাজর, বেরি জাতীয় ফল, লেবুর মতো ভিটামিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও শাকসব্জি ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি পেশির গঠন দৃঢ় ও মজবুত করে।
পর্যাপ্ত জল পান করুন
বয়স বাড়লে শরীরের আর্দ্রতার পরিমাণ হ্রাস পায়। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পরিমিত জল পান করা প্রয়োজন। জল শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সক্রিয় ও সচল রাখে। মদ্যপানের অভ্যাস শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম। ওজন স্বাভাবিক রাখতে সোডা জাতীয় পানীয় বা মদ্যপান এড়িয়ে চলতে পারেন।