ডায়েট করে, ওজন কমিয়েও হাঁটুর ব্যথা কমছে না? ছবি- সংগৃহীত
দেহের তুলনায় সরু, কমজোর দুটি পা-কেই শরীরের সব ভার বইতে হয়। তাই কমবয়সে তেমন সমস্যা না হলেও একটা বয়সের পর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই হাঁটুর সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য অবশ্য ওজনও অনেকটাই দায়ী। ডায়েট করে, ওজন কমিয়ে, নানা রকম চিকিৎসা শেষে যখন একেবারেই কোনও ফল মেলে না, হাঁটু প্রতিস্থাপন ছাড়া আর উপায় থাকে না। কিন্তু সেই চিকিৎসা যেমন খরচসাপেক্ষ, তেমন কষ্টকরও। তাই প্রথম থেকেই যদি নিয়মিত কিছু যোগভ্যাস করা যায়, হাঁটুর সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাঁটুর জোর বাড়াতে কোন কোন ব্যায়াম করবেন?
১) সমস্থিতি
হাঁটু না ভেঙে একেবারে টান টান হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের পাতা কাছাকাছি রাখুন। চোখ বন্ধ করে, দুই হাত দেহের দুপাশে প্রসারিত করুন। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এই ব্যায়াম করুন প্রতি দিন। অন্তত ৫ বার করুন।
২) উৎকটাসন
প্রথমে সমস্থিতির মতো অবস্থানেই দাঁড়ান। তার পর হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। দুই হাত মাথার উপর তুলে নমস্কার করার ভঙ্গিতে রাখুন। প্রথমে বেশি ক্ষণ না পারলেও ৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
৩) দণ্ডাসন
পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। পিঠ যেন টান টান হয়ে থাকে। দুই হাত রাখুন দেহের দু’পাশে। পায়ের পাতা টেনে রাখুন ভেতরের দিকে। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর ছেড়ে দিন। এই ভাবে প্রথমে ১০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করে, পরে ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
৪) পশ্চিমত্তনাসন
প্রথমে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। হাঁটু ভাঙলে কিন্তু একেবারেই চলবে না। এ বার গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করুন। এ বার দুটি হাত পায়ের পাতার পিছন দিক থেকে ধরে রাখুন। শরীর যতটুকু সামনের দিকে আসতে পারে, ততটুকুই আনার চেষ্টা করুন। প্রথম দিনেই বেশি চাপ দেবেন না।
জানুশীর্ষাসন। ছবি- সংগৃহীত
৫) জানুশীর্ষাসন
প্রথমে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। এ বার একটি পা পাশাপাশি ভাঁজ করে অন্য পায়ের কাছে রাখুন। এর পর একই পদ্ধতিতে গভীর শ্বাস নিয়ে কোমরের অস্থিসন্ধি থেকে শরীরটা টেনে সামনের দিকে ঝুঁকতে চেষ্টা করুন। যে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে রেখেছেন, সেই হাঁটুতে মাথা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। একই ভাবে দু’পায়ে এটা করার অভ্যাস করুন।