Lungs Care

পাকদণ্ডী নয়, সোজা রাস্তায় হাঁটলেই হাঁপিয়ে ওঠেন? ৫ আসনেই হবে মুশকিল আসান

প্রথম অবস্থাতেই যদি হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তবে নিয়মিত কিছু আসন অভ্যাস করা যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কিছু দিন আগে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে পাকদণ্ডী রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে প্রাণ একেবারে হাতে চলে এসেছিল। তবে পাহাড় বলে নয়, ইদানীং শহরের রাস্তায় একটু হাঁটতে গিয়েও কিন্তু বেশ হাঁপ ধরছে। তবু এখনও তেমন গরম পড়েনি। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে তো এমনিতেই কালঘাম ছুটবে। তা হলে হাঁপানির জন্য কি শেষে ইনহেলার নিতে হবে? চিকিৎসকেরা বলছেন, ইনহেলার নেওয়া মানেই মারাত্মক কিছু নয়। তবে প্রথম অবস্থাতেই যদি এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তবে নিয়মিত কিছু আসন অভ্যাস করা যেতে পারে।

Advertisement

কোন কোন আসনে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে?

১) সুখাসন

Advertisement

ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপর এবং বাঁ পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ডান ঊরুর উপর রাখুন। এর পর দুই হাঁটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে বসে স্বাভাবিক ছন্দে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকতে পারেন।

২) ধনুরাসন

উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

৩) ভুজঙ্গাসন

ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তীতে ৫-৬ বারও করতে পারেন।

৪) উষ্ট্রাসন

হাঁটু মুড়ে বসুন। পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন। এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে শবাসন করে শুরুর অবস্থায় ফিরে যান।

৫) মার্জারাসন

প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। এর পর এক বার পিঠ ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্তত পক্ষে ৫ মিনিট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement