প্রতিদিনই নিয়ম করে বাড়ছে বঙ্গের তাপমাত্রা নিজস্ব চিত্র
বসন্ত নিয়ে বাঙালির যতই রোম্যান্টিকতা থাকুক না কেন, প্রকৃতির কিন্তু সে দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। রাতে অল্পস্বল্প ঠান্ডা অনুভূত হলেও দিনের বেলায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। হওয়া অফিস বলছে, কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। এই অবস্থায় শরীরের সুস্থতা রক্ষা করতে নিতে হবে বাড়তি উদ্যোগ।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। সঠিক পোশাক: দিনের বেলা বাইরে বেরোলে হাল্কা রঙের সুতির পোশাক সবচেয়ে কার্যকর। বিশেষত যাঁরা সারাদিন বাইরে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গরম আটকানোর জন্য সুতির পোশাক অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি এই সময় আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলাই ভাল। কাজে বেরিয়ে যাঁদের ফিরতে রাত হয়, তাঁরা সঙ্গে একটি অতিরিক্ত হাল্কা পোশাক রাখতে পারেন। যাতে ট্রেনে-বাসে ফেরার পথে ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পেতে জড়িয়ে নেওয়া যায় গায়ে।
২। ছাতা: দুপুরে বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই সঙ্গে রাখুন ছাতা কিংবা টুপি। সুযোগ পেলে পরুন রোদচশমাও। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে এই সময় অতিরিক্ত যত্নশীল না হলে ঘটতে পারে বড় বিপদ।
৩। বাতানুকূল স্থান থেকে বাইরে বেরোতে হলে: যাঁরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে থাকেন বা অফিসে কাজ করেন, তাঁদের কোনও মতেই ঘরের ঠান্ডা থেকে বেরিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই রোদে যাওয়া উচিত নয়। একই ভাবে সত্যি উল্টোটিও। উষ্ণতার এই হেরফেরের মাঝে মিনিট দুয়েক ছায়ায় দাঁড়িয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪। দেহে জলের পরিমাণ বজায় রাখা: নিয়মিত জল পান করা ও দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে পান করা যেতে পারে ডাবের জল কিংবা ফলের রস। কিন্তু ঠান্ডা পানীয়, কফি ও মদ কমাতে হবে যতটা সম্ভব। নিয়মিত স্নান করাও এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি।
৫। সঠিক খাদ্যাভ্যাস: তাপমাত্রার চড়াই-উৎরাই সামাল দিতে গেলে নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। এখন থেকেই ধীরে ধীরে তেল-মশলা সমৃদ্ধ খাবার কমাতে হবে। বাড়াতে হবে মরসুমি শাক-সব্জি ও ফল খাওয়া। যাঁরা আমিষ খাবার বেশি খান, তাঁদের বেশি করে স্যালাড জাতীয় খাবার খেতে হবে।