৫ উপসর্গ দেখলেই বুঝতে হবে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
বুকে হাল্কা ব্যথা কিংবা মাঝেমধ্যেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া— এমন উপসর্গ অনেক সময় দেখেও আমরা অবহেলা করি। ফুসফুসে সংক্রমণ হলেও সাধারণ ঠান্ডা লাগা ভেবে ভুল করি আমরা। তবে কোভিডের পরবর্তী সময় চিকিৎসকেরা ফুসফুসের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলছেন বারংবার। সতর্ক হতে হবে যে কোনও সঙ্কেত পেলেই। যে সব অস্বস্তিকে সাধারণত অবহেলাই করা হয়ে থাকে, সে সব বিষয়েও হতে হবে সাবধান। ধূমপানের অভ্যাস না থাকলেও বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কোন কোন লক্ষণ ফুসফুসের জটিলতার লক্ষণ?
১) রোজ ঘুম থেকে উঠেই কাঁধ-পিঠে তীব্র যন্ত্রণা হলে বুঝতে হবে, এ সাধারণ ক্লান্তি নয়। অনেক সময়েই শরীরের এক অংশে সমস্যা হলে একেবারে অন্য কোনও অঙ্গে অসুবিধা দেখা দেয়। এই ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘রেফার্ড পেন’।
২) ঘন ঘন সর্দি-কাশি হচ্ছে? এমনটাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। যদি কিছু দিন অন্তর ঠান্ডা লাগলে, সর্দি-কাশিতে কাবু হলে বুঝতে হবে শরীরের ভিতরে কোনও সমস্যা আছে। অনেকের আবার কাশি হলে কমতেই চায় না। এমন প্রবণতা দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২) শ্বাস নিতে গেলেই মনে হচ্ছে খুব কষ্ট হচ্ছে? এই সমস্যাও অবহেলা করার মতো নয়। বুঝতে হবে ফুসফুস জানান দিচ্ছে, ভিতরে কোনও সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বা সংক্রমণ হলে এমন অনেক সময়েই হতে পারে। সর্ব ক্ষণ ক্লান্ত লাগলে যেমন উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমন অন্য অসুখও হতে পারে। ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। তা থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
৪) গলার আওয়াজ অন্য রকম লাগছে কি? সর্দি-কাশি হলে এমন সমস্যা ঘটেই থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এমনই চলে, তবে তা ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
৫) কাশি কিছুতেই কমছে না? কফের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছে? সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বা কর্কট রোগ বাসা বাঁধলে এমনটা হতে পারে।