ধূমপান করেন? কী দেখে বুঝবেন ফুসফুস ভাল নেই? ছবি: শাটারস্টক।
মাঝেমধ্যেই বুকে চিনচিন ব্যথা কিংবা ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে যাওয়া— উপসর্গগুলি সাধারণ ভেবে উপেক্ষা করলেই ঘোর বিপদ। ফুসফুসের ক্যানসার কিংবা গুরুতর ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ হতেই পারে এ সব সমস্যা। নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস না থাকলেও বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফুসফুস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দূষণ এবং বিভিন্ন অনিয়মের জেরে ফুসফুসের হাল বেহাল হতে সময় লাগে না। সতর্ক না হলেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন অসুখ।
ফুসফুসে কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সাবধান হবেন?
১) মাঝেমধ্যেই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? যদি ঘন ঘন সর্দি-কাশি হয়, তবে বুঝতে হবে শরীরের ভিতরে কোনও সমস্যা আছে। অনেকের আবার কাশি হলে কমতেই চায় না। এমনটা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বুকে কফ জমার প্রবণতা বেড়ে গেলেও চিকিৎসকের কাছে যান।
২) ঘুম থেকে উঠেই কাঁধ-পিঠে প্রবল যন্ত্রণা হয়? তা হলে বুঝতে হবে যে, এ সাধারণ ক্লান্তি নয়। কাঁধের যন্ত্রণাও কিন্তু ফুসফুসে রোগের উপসর্গ হতে পারে।
দূষণ এবং বিভিন্ন অনিয়মের জেরে ফুসফুসের হাল বেহাল হতে সময় লাগে না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? এই সমস্যাও অবহেলা করার মতো নয়। এমনটা হলে বুঝতে হবে, ফুসফুস জানান দিচ্ছে, ভিতরে কোনও সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমন অনেক সময়েই হতে পারে।
৪) সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগে? ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। তা থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে। তাই অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে উঠছেন, এমন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৫) গলার আওয়াজ অন্য রকম লাগছে কি? সর্দি-কাশি হলে এমনটা স্বাভাবিক, তবে দিন কয়েকের মধ্যেই সেই সমস্যা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এমনই চলে, তবে সমস্যা গুরুতরও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।