ফ্যাটি লিভারের ৫ উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হন। ছবি: শাটারস্টক
অনিয়ন্ত্রিত জীবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কর্মব্যস্ততার কারণে শরীরের দিকে খেয়াল না রাখা, অতিরিক্ত মদ্যপান— এগুলিই যদি আধুনিক জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে, তা হলে তার ফল অবশ্যই ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসের মতো অসুখ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদ অভ্যাস ও ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা ইচ্ছা থাকলেও মদ্যপান ছাড়তে পারছেন না। ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। জীবনশৈলীতে বদল এনেই এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। রোগের উপসর্গগুলি জানা থাকলে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া যায়। কোন কোন লক্ষণ এই রোগের ইঙ্গিত দেয়?
১) শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে তার হাত ধরে ফ্যাটি লিভার হানা দেয় শরীরে। যদি খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে, তা হলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না।
২) ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই সচেতন হন। যে কোনও বয়সেই ভুঁড়ি বাড়লে সচেতন হতে হবে। ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফ্যাটি লিভারও। তাই এমন হলে ফ্যাটি লিভার আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৩) শরীরে মেদ জমছে আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এমন হলে কিন্তু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে।
ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই সচেতন হন। ছবি: শাটারস্টক
৪) ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে সচেতন হন।
৫) ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের খিদেও বেড়ে যায়। এমন সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।