প্রতীকী ছবি।
করোনা হওয়ার হলে কেউ আটকাতে পারবেন না। এমন মনোভাব অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি রোগটি ধরা পড়বে, ততই দ্রুত সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই রোগের উপসর্গগুলি দ্রুত চিনে নেওয়া জরুরি। জ্বর-সর্দি যেমন থাকে, তেমন আরও কিছু শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে করোনা হলে। পেশিতে টান ধরা থেকে পেটের গোলমাল, এ সবও করোনার উপসর্গ। তেমন আরও এক ধরনের উপসর্গ হল চর্মরোগ। সম্প্রতি ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজি’-র একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ৮.৮ শতাংশ কোভিড রোগীর ত্বকে কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। মূলত পাঁচ ধরনের র্যাশের কথা বলা হয়েছে সেখানে। জেনে নিন সেগুলি কী কী—
১) কোভিড ডিজিটস: এটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। পায়ের আঙুল ফুলে লাল বা বেগুনির মতো রং নিচ্ছে। সাধারণত এমন সমস্যা খুব ঠান্ডার সময়ে হয়ে থাকে। তবে করোনায় আক্রান্ত হলে তা দেখা দিতে পারে যে কোনও মরসুমেই। ফোলা আঙুলগুলিতে হালকা চুলকানির সমস্যা হয়। হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয় এমন ক্ষেত্রে।
প্রতীকী ছবি।
২) এগজিমা: প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার কারণে খুব শুষ্ক হয়ে যায় ত্বক। র্যাশ বেরোয়। চামড়া ফেটে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। গলা, বুক এবং হাতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এই সমস্যা। এগজিমা যে সব সময়ে করোনা সংক্রমণের সময়েই দেখা দিচ্ছে, তা নয়। বহু রোগী ‘করোনা নেগেটিভ’ হয়ে যাওয়ার পরও এই সমস্যায় ভুগছেন।
৩) হাইভ্স: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ সারা গা র্যাশে ভরে যায়। এ ক্ষেত্রে হাত, পায়ে লালচে চাকা চাকা ভাব দেখা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যাটি সংক্রমণের বেশ শুরুর দিকে দেখা দিতে পারে। এবং তা থাকে বেশ অনেক দিন।
৪) মুখে র্যাশ: হঠাৎ ঠোঁট খুব শুষ্ক হয়ে যায়। ফেটে যেতে শুরু করে। ঠোঁটের চারপাশে লালচে র্যাশ দেখা দেয়। স্পেনের একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা দিতে শুরু করে করোনার বাকি সব উপসর্গ দেখা দেওয়ার দিন দুই আগে থেকেই। তবে তার মানে যে জ্বর-সর্দি হওয়ার পর কারওরই মুখের র্যাশ আর বেরোয় না, এমন নয়।
৫) পিটুরাইয়াসাস রোসিয়া: পেট, বুক বা পিঠে গোল করে চাকা চাকা র্যাশ বেরোতে শুরু করে। হাত এবং থাইয়েও হতে পারে এই র্যাশ। সাধারণত এ র্যাশ অনেকটা এলাকায় ছড়িয়ে যায়। সংক্রমিত হওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে এগুলি দেখা দেয়। থাকে বেশ অনেক দিন পর্যন্ত।