শরীর, মন ডিটক্স করার পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের সঙ্গে মনের যোগ রয়েছে। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেক সময়েই ক্লান্ত বোধ করেন। সেই ক্লান্তি যে সব সময়ে শরীরের, তেমন নয়। নিত্য দিন নানা রকম ঘটনায় মনও ভারাক্রান্ত হয়। দিনের পর দিন ধরে চলা এই ধকল সামলাতে না পারলে শরীরে, মনে টক্সিন জমে। অনেকেরই ধারণা, শরীরে টক্সিন জমে শুধু মাত্র অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে সাত দিন সাত রকম ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন। কিন্তু, তাতে শুধু শরীর বিষমুক্ত হতে পারে। মনের শুদ্ধিকরণ করতে নিয়মিত অভ্যাস করতে হবে কয়েকটি কাজ।
১) মেনে নেওয়া এবং মানিয়ে নেওয়ার মধ্যেও শাান্তি আছে। অতীতে কী হল না বা কেন হল না, সেই সব ভেবে মনকে কষ্ট দেওয়ার কোনও মানে নেই। মন ভাল না থাকলে শরীরও বিগড়ে যাবে।
২) নিজেকে প্রশ্ন করুন। কিন্তু যে প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই, তা খুঁজে বেড়াতে যাবেন না। বরং আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে বা কী করলে আরও উন্নতি করা সম্ভব, সেই উত্তরের খোঁজ করতে পারেন।
৩) সমাজমাধ্যমে যা হচ্ছে, তার সবটা নখদর্পণে রাখতে হবে, না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে, এই মনোভাব বর্জন করতে পারলে ভাল হয়। যে সমস্ত বিষয় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, তাকে জীবন থেকে ‘আনফলো’ করে ফেলতে পারলে অনেক আরাম লাগবে।
মনের মধ্যে যা আসছে, তা সহজ ভাবে লিখে ফেলুন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) লিখতে পারেন। তার জন্য ভাষা বিশারদ হতে হবে, এমন নয়। বরং মনের মধ্যে যা আসছে, তা সহজ ভাবে লিখে ফেলুন। সারা দিন কী করলেন, কী করতে পারলেন না— সবই লিখে রাখা যেতে পারে। তাতেও মন শুদ্ধ হয়।
৫) হাতে কিছুটা সময় থাকলে দিন শুরু করতে পারেন ধ্যান অভ্যাস করে। কাজ থেকে ফিরে রাতে শোয়ার আগেও ধ্যান বা মেডিটেশন করাই যায়। ঘুমোনোর আগেই হোক বা দিনের শুরুতে, মন শান্ত রাখা জরুরি। মনের মধ্যে বিশ মন পাথর নিয়ে কোনও কাজই করা যায় না।