নাক ডাকা কমানোর উপায় ছবি: সংগৃহীত
যাঁরা নাক ডাকেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা ঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই আপাত তুচ্ছ সমস্যার পিছনে একাধিক গুরুতর সমস্যা থাকতে পারে। নাকের গহ্বর ও নাকের পেশির দুর্বলতা, ফুসফুসের সমস্যা বা নাকের ভিতর অবাঞ্ছিত বাধা সৃষ্টির হওয়ার মতো শারীরিক অসুস্থতা থেকে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে খুব সহজ কিছু উপায় মেনে চললে কিছুটা হলেও কমতে পারে নাক ডাকার সমস্যা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। ধূমপান বর্জন: ধূমপান শ্বাস-প্রশ্বাসের যে কোনও সমস্যাকেই বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে শ্বাসনালীতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। স্ফীত হয়ে যেতে পারে নাসিকাগহ্বরের পেশিও। ধূমপান বন্ধ করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর হয়। ফলে কমে নাক ডাকার প্রবণতা।
২। রসুন: রসুন শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত মিউকাস জমা হতে বাধা দেয়। এর ফলে পরিষ্কার থাকে শ্বাসনালী। ঠান্ডা কমাতে এমনিতেই নিয়মিত রসুন খান অনেকে। গরম জলে রসুন মিশিয়ে সেই জল দিয়ে গার্গল করলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা যেমন কমে, তেমনই কমে নাক ডাকার সমস্যাও।
৩। অতিরিক্ত ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার অন্যতম কারণ। স্থূলতার ফলে গলা ও ঘাড় সংলগ্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত মেদ জমা হয়। এই অতিরিক্ত মেদ শ্বাসনালীর উপরের অংশে চাপ তৈরি করে। ফলে ওজন যত বাড়ে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বাড়ে। অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেললে মুক্তি মিলতে পারে নাক ডাকার সমস্যা থেকে।
৪। অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। নাকের পেশির ফোলা ভাব কমাতেও সহায়তা করে অলিভ অয়েল। ঘুমতে যাওয়ার আগে দু’নাকে দু’ফোঁটা অলিভ অয়েল দিলে অনেকটাই পরিষ্কার থাকে নাক। ফলে কমতে পারে নাক ডাকার সমস্যা
৫। দারচিনি: নাক ডাকার সমস্যা কমাতে হালকা গরম জলে দারচিনি গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। তার পর সেই জল দিয়ে গার্গল করুন। গরম জলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলেও উপকার মিলতে পারে নাক ডাকার সমস্যায়।