খাবার খাওয়ার পরে কিছু অভ্যাসের কারণেও কিন্তু হতে পারে বদহজম। ছবি: সংগৃহীত
শরীর ভাল রাখতে রোজ খাদ্যতালিকায় রেখেছেন স্বাস্থ্যকর খাবার? ভাজাভুজি, তেল-মশলার দিকে ভুলেও তাকাচ্ছেন না। কিন্তু তাতেও পেটের গোলমাল কমছে না? কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই কিন্তু সব নয়। খাবার খাওয়ার পরে কিছু অভ্যাসের কারণেও কিন্তু হতে পারে বদহজম।
জেনে নিন খাবার পর কোন অভ্যাসগুলি এড়িয়ে চললে মুক্তি পেতে পারেন বদহজমের সমস্যা থেকে...
ধূমপানের অভ্যাস: অফিসের টিফিন সেরেই নিয়মিত নীচে নামেন ধূমপান করতে? এই অভ্যাস কিন্তু খুব খারাপ। এতে হজম ক্ষমতার বারোটা বাজে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। এই অভ্যাসের ফলে পাকস্থলীতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ফল খাওয়ার অভ্যাস: দুপুরের খাবার সেরেই অনেকে ফল খান। এর কারণেও কিন্তু বদহজম হতে পারে। লেবুজাতীয় ফল খেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বদহজম, বুকে জ্বালা, পেটের গোলমাল হতে পারে।
প্রতীকী ছবি
চা খাওয়া: রাতে কিংবা দুপুরে, ভারি খাবার খাওয়ার পর চা পান করা কিন্তু পেটের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ঠিক পরপরই চা পান করলে হজমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চায়ের মধ্যে প্রচুর মাত্রায় ট্যানিন থাকে, যা খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এই রাসায়নিক যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং শরীরে আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
ঘুম: দুপুরে হোক কিংবা রাতে, খাওয়া সেরেই ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে সেটি ত্যাগ করুন। খাওয়ার পর খাবার হজম হওয়ার সময় দিতে হবে। ঘুমিয়ে পড়লে হজমের কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
স্নান করা: অনেকে এমনও আছেন যাঁরা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর স্নান করে ঘুমাতে পছন্দ করেন। তাতে নাকি ঘুম ভাল আসে। তবে এই অভ্যাসের কারণে কিন্তু ক্ষতি হয়। এর ফলে পেটব্যথা, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে বিপাকের হার কমে যায়। আর তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। বিশেষ করে ফ্যাট বা রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেট বা অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পর স্নান করলে হজম প্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়। তাই পেটের গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।