রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে থাকা ‘এলডিএল’ বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন-কেই খারাপ কোলেস্টেরলের তালিকাভুক্ত করা হয়। কারণ, রক্তে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হার্টের ধমনীতে ‘প্লাক’ তৈরি সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তাই বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়া করছেন। নিয়মিত হাঁটা এবং হালকা কিছু ব্যায়ামও করতে হয়। কিন্তু কোলেস্টেরল বশে রাখতে নিয়মিত যা যা করছেন, আদৌ তা কাজ করছে কি না দেখার জন্যে মাঝেমধ্যে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে বলেন চিকিৎসেকরা। তবে এই ধরনের পরীক্ষা করানোর আগে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি, না হলে পরিমাপে হেরফের হয়ে যেতে পারে।
১) উপোস করে থাকা
কোলেস্টেরলের মাত্রা কেমন, তা পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসকেরা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে থাকতে বলেন। এত ক্ষণ একেবারে নির্জলা থাকতে কষ্ট হয় বলে অনেকে চা, জল খেয়ে ফেলেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু রক্তে কোলেস্টেরল এবং টাইগ্লিসারাইডের মাত্রায় হেরফের ঘটাতে পারে।
২) মদ না খাওয়া
কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা জানতে হলে রক্ত পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে মদ খাওয়া যাবে না। তবে শুধু কোলেস্টেরল নয়, যে কোনও পরীক্ষা করাতে যাওয়ার অন্তত পক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৩) পর্যাপ্ত জল খাওয়া
রক্ত পরীক্ষা করানোর ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে চা, জল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু শরীর যাতে ডিহাইড্রেটেড হয়ে না যায়, সে দিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তাই আগে থেকেই জল খেয়ে শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন।
কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা জানতে হলে রক্ত পরীক্ষা করাতে যাওয়ার আগে মদ খাওয়া যাবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি ধরা পড়লে কোন কোন পছন্দের খাবার জীবন থেকে বাদ পড়বে, সেই চিন্তা যদি রক্ত পরীক্ষা করানোর আগেই গ্রাস করে, তা হলে মুশকিল। তাই রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৫) চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়া
রক্ত পরীক্ষা করানোর আগে বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই ধরনের খাদ্যাভাস রক্তে বিভিন্ন উপাদানের মাত্রায় হেরফের ঘটাতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।