মশলার গুণেই জব্দ হবে কোলেস্টেরল? ছবি: শাটারস্টক।
অল্পবয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে তাই চেষ্টা করতে হবে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে। নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াতেও রাশ টানতে হবে। এ ছাড়া ভরসা রাখতে পারেন আয়ুর্বেদে উল্লিখিত কিছু মশলার উপরেও। জেনে নিন, হেঁশেলের কোন কোন মশলায় কোলেস্টেরল বশে থাকতে পারে।
১) মেথি: মেথিতে থাকা স্যাপোনিন্স নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
২) হলুদ: হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, কারকিউমিন যৌগটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ‘ভাল’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এইচডিএল’-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
মেথিতে থাকা স্যাপোনিন্স নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) দারচিনি: দারচিনিতে থাকা সিনাম্যালডিহাইড নামক যৌগটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এই শর্করার প্রভাব পড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড-এর উপর। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪) গোলমরিচ: এই মশলায় রয়েছে প্যাপরিন নামক একটি যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যৌগ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৫) আদা: আদায় থাকে জিনজেরল্স এবং শোগাওল্স নামক দু'টি যৌগ। এগুলি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ধমনীতে মেদ জমতে পারে না সহজে।