Oral Cancer

ধূমপানের অভ্যাস আছে? কোন ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝতে হবে মুখে কর্কট রোগ বাসা বেঁধেছে

তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসও ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায় কোন লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ২১:২৪
Share:

রীদের তুলনায় পুরুষরাই মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ছবি: শাটারস্টক।

ভারতে মুখের ক্যানসার বাড়ছে হু হু করে। অথচ চেষ্টা করলেই যা রোখা সম্ভব। গুটখা, খৈনি, পানমশলা খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে মারণ এই রোগের ঝুঁকি। জেনে বুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অনেকেই।

Advertisement

প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা যায়। তবে কোনও বিকল্প চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত অংশকে সমূলে বাদ দেওয়াই স্বীকৃত চিকিৎসা। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি।

তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসও ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও মুখের ক্যানসারের ইতিহাস, দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

Advertisement

কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

১) মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি স্মোকার বা ধোঁয়াহীন তামাকে আসক্ত হন, লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হল প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ।

২) গালে বা গলায় কোনও ফোলা অংশ যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনও ব্যথা বেদনা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।

ছবি: শাটারস্টক

৩) মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে, যা ক্রমশ বাড়ছে কিংবা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলে তা-ও ক্যানসারের লক্ষণ।

৪) দীর্ঘ দিন ধরে জিভ নাড়াতে অসুবিধে হচ্ছে, কথা বলারও সমস্যা শুরু হয়েছে, হাঁ করতে বা মুখ খুলতে প্রবল ব্যথা হচ্ছে।

৫) ঠান্ডা লাগলে বা কোনও ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা স্বল্প দিনের। যদি দেখেন দীর্ঘ দিন পরেও এই ব্যথা কমছে না তা হলে সতর্ক হতে হবে।

মুখের ক্যানসার মোকাবিলায় প্রতিরোধই সেরা কৌশল। কাজেই পান, সুপারি, বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা-সহ তামাকজাত পণ্য বর্জন করতে হবে। দাঁতের যত্নও নিতে হবে। দিনে দু’বার ব্রাশ করা, সঙ্গে ফ্লস-মাউথওয়াশের ব্যবহার রপ্ত করতে হবে। বছরে অন্তত দু’বার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। মুখে যে কোনও ঘা বা আলসার হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement