রোজ তিসি খাওয়া মোটেও ভাল নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল খান। সেই ভেজানো ফ্ল্যাক্সসিড আবার রাতে রুটির মণ্ডতে মিশিয়ে নেন। পুজোর আগে জিমের পাশাপাশি নানা রকম ডিটক্স পানীয় খাচ্ছেন। সঙ্গে তিসি ভেজানো জল খাচ্ছেন নিয়মিত। কারণ, তিসি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে এই দানাশস্য। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে তিসি। এত উপকার সত্ত্বেও রোজ তিসি খাওয়া মোটেও ভাল নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
উপকার হলেও তিসি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারা?
উপকার হলেও তিসি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারা? ছবি: সংগৃহীত।
১) অ্যালার্জিজানিত সমস্যা
তিসি খেলে অনেকেরই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হয়। তাই খাওয়ার পর দেহের কোনও অংশে যদি র্যাশ বেরোয়, লাল হয়ে ফুলে যায় বা চুলকোয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
২) গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়
ফ্ল্যাক্সসিড খেলে হরমোনের উপর তার প্রভাব পড়ে। গর্ভাবস্থায় তাই ফ্ল্যাক্সসিড খাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদেরা।
৩) ডায়েরিয়া
ফ্ল্যাক্সসিডে যেহেতু ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত ফ্ল্যাক্সসিড খেলে ডায়েরিয়া হতে পারে। কারও কারও পেটফাঁপা, গ্যাস, পেটে যন্ত্রণার সমস্যা দেখা যায়।
৪) প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে
বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তিসি খেলে শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কমে। তবে ব্যতিক্রমও আছে। অনেকেরই উল্টো প্রতিক্রিয়া হয়। বেশ কয়েক জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তিসি খাওয়ার পর প্রদাহজনিত সমস্যা বেড়ে গিয়েছে।
৫) সন্তানধারণেও বাধা দিতে পারে
যে হেতু হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে তাই সন্তানধারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করতে পারে তিসি। সন্তানধরাণ করতে চাইলে অন্তত মাস ছয়েক আগে থেকেই তিসি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।