খালি পেটে কেন কফি নয়? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ গরম কফিতে চুমুক না দিলে অনেকেরই ঘুমের আমেজ কাটে না! খালিপেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
সারা বছর হজমে গোলমাল হয়? খালিপেটে কফি খাওয়াই কিন্তু এই গোলমালের কারণ পারে। শুধু তা-ই নয়, পাচনক্রিয়া এবং পেট পরিষ্কার হওয়ার গোটা প্রক্রিয়াটাই বিগড়ে যেতে পারে। শরীরে হানা দিতে পারে ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ বা ‘আইবিএস’-এর মতো সমস্যা।
সারা রাত জল না খেয়ে পর দিন ঘুম থেকে উঠেই কফি খেয়ে নিলে কিন্তু শরীরে মারাত্মক রকম ডিহাইড্রেশন শুরু হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে বেশ তরতাজা লাগে। কফিতে থাকা ক্যাফিন খুব সাময়িক ভাবে শক্তির জোগান দিতে পারে। তবে ক্যাফিন নামক পদার্থটি শরীরে জলের ঘাটতি ঘটায়। সকালে খালিপেটে কফি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই দিনের শুরুটা এক গ্লাস জল দিয়ে করাই ভাল, কফি খেতে হলে তার পরে খান।
অনেকেই দুধ-চিনি দিয়ে কফি খেতে পছন্দ করেন। এই অভ্যাস আরও খারাপ। প্রাতরাশ না করে সকালে খালি দুধ দিয়ে কফি খেলে অ্যাসিডিটি, এমনকি আলসার হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
প্রাতরাশ না করে সকালে খালি দুধ দিয়ে কফি খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালিপেটে বেশি মাত্রায় কফি খেলেই কর্টিসোলের ক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। এর ফলে মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’ আরও জাঁকিয়ে বসে। ফলে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে দু’-তিন কাপ কফি খেয়ে নিলে মন ভাল হওয়ার পরিবর্তে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলের ক্ষরণ বিপাকহার, রক্তচাপ আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ত্রণে রাখে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।