শীত পড়তেই কোমরের যন্ত্রণায় কাতর? ছবি: শাটারস্টক।
শীতকাল অনেকের কাছে বছরের সেরা মরসুম হলেও এই সময় নানা রকম রোগবালাইয়ের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যা তো ঘরে ঘরে লেগেই থাকে। এর পাশাপাশি শীত বাড়তেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে যন্ত্রণা শুরু হয়। দীর্ঘ ক্ষণ অফিসে এক জায়গায় বসে কাজ করার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পিঠ আর কোমরে। এ সময়ে এক বার পিঠে ব্যথা শুরু হলে আর ছাড়তে চায় না। ঘুম থেকে উঠে যন্ত্রণা শুরু হলে সেই যন্ত্রণা পিছু ছাড়ে না রাতে আবার ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত। কাজ করতে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনই সমস্যা হয় হাঁটাচলা করতে। এই যন্ত্রণার জেরে কাজের গতি কমে যায়। যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে যন্ত্রণানাশক ওষুধের উপর ভরসা করেন অনেকে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাস আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়।
শীতে পিঠ ও কোমরের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে কী করতে পারেন?
১) পিঠে ব্যথায় আরাম পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল সেঁক। শীতকালে বরফ সেঁক দিতে আরাম লাগে না। কিন্তু গরম কিছু দিয়ে সেঁক দিতে পারেন দিনে অন্তত দু’বার। হট ওয়াটার ব্যাগ কিংবা বৈদ্যুতিন হিটিং প্যাডও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া শীতকালে গরম জলে স্নান করলেও ব্যথা, যন্ত্রণার থেকে আরাম পেতে পারেন।
২) এই সময় ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে ‘স্ট্রেচিং’ করুন। পিঠে ব্যথা হলে সব ধরনের ব্যায়াম করা যায় না। কিন্তু পেশিতে টান ধরার সমস্যা দূর করতে হলে অল্প অল্প করে হাত-পা ছড়ানোর চেষ্টা করতেই হবে। তাতে আরাম পাবেন। প্রশিক্ষকের নজরদারিতে স্ট্রেচিং করুন নিয়মিত।
ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে ‘স্ট্রেচিং’ করুন।
৩) কাজ করতে বসার সময়ে পিঠে কোনও ব্যাথা কমানোর মলম লাগাতে পারেন। বেশ কিছু ক্ষণের জন্য আরাম দিতে পারে সেটি। এ ছাড়া শীতের সময় নিয়ম করে গরম তেল মালিশ করলেও আরাম পাবেন।
৪) ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে কি? যদি না হয়, তবে সে দিকেও নজর দিন। কম ঘুমের কারণেও অনেক সময়ে ব্যথা বাড়ে। এ ছাড়া শীতকালে অনেকেই জল কম খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও কিন্তু ব্যথা বেড়ে যায়। তাই যন্ত্রণা এড়িয়ে চলতে হলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।
৫) পিঠ, কোমরে ব্যথা হওয়ার আরও একটি কারণ হল মানসিক চাপ। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া দরকার। মন ভাল রাখার চেষ্টা করুন এ সময়ে। তা হলেও আরাম পেতে পারেন।