পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে এবং খাওয়ার পরে মশলা দেওয়া চা পান করা শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
রাজনীতি থেকে অফিসকাচারি, ফুটবল কিংবা ফ্যাশন, সব মহলেই চায়ের অবাধ বিচরণ। ভারতের নানা প্রান্তে নানা রকমের চা জনপ্রিয়। শীতকালে এক কাপ চা আর সঙ্গে কিছু টুকিটাকি খাবার পেলেই জমে যায় আড্ডার আসর। তবে কেবল আড্ডার আসর জমাতেই নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও চায়ের কোনও তুলনা নেই।
পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে এবং খাওয়ার পরে মশলা দেওয়া চা পান করা শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার পরে হজমের সহায়তা করে এই পানীয়। মশলা চা পান করলে টক্সিন দূর হয়।
অনেকেই দুধ, চিনি দিয়ে মশলা চা খেতে পছন্দ করেন। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো চা কিংবা গ্রিন টি-র সঙ্গে মশলা মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন বেশি।
প্রতীকী ছবি
১) শীতকালে মশলা চা একটি দুর্দান্ত পানীয়। সকালে এক কাপ গরম মশলা চা পান করলে শরীরে প্রয়োজনীয় উষ্ণতা পাওয়া যায়। আদা, দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, জায়ফল, জাফরানের মতো মশলা শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দারুণ কার্যকর। এই পানীয় বিপাকক্রিয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতেও ভীষণ উপকারী।
২) সকালে মশলা চায়ে চুমুক দিলে তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। মৌরি, লবঙ্গ, দারচিনি এবং জায়ফলের মতো মশলা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। এই মশলাগুলি শরীরের চর্বি পোড়াতে এবং খিদে কমাতেও সাহায্য করে।
৩) হলুদ, জাফরান এবং লবঙ্গের মতো মশলাগুলি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ সব মশলায় থাকা উপাদানগুলি প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে, ব্যথা এবং ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।
৪) কাজের ফাঁকে হঠাত্ ক্লান্তি বোধ করলে এক কাপ মশলা চায়ে চুমুক দিলেই আপনি তরতাজা অনুভব করবেন। বাইরে থেকে কেনা এনার্জি ড্রিঙ্কগুলিতে ক্যাফিন থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। তাই ক্লান্তি দূর করতে ভরসা রাখুন মশলা চায়ের ওপর। কোনও প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সুফল মিলবে।
৫) দারচিনি দিয়ে চা বানালে সেই চা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে সেই চায়ে ভুলেও চিনি দেবেন না যেন।