মাথাব্যথা হয় কেন? ছবি: সংগৃহীত।
বসন্তের আগমন সকলের কাছে সুখের নয়। সকালে গরম, রাতে ঠান্ডা। কখনও আবার বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি স্বভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় তাঁদের, যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। গরম বাড়তে থাকলে এই সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ ছাড়া মাথা যন্ত্রণার জন্য আরও অনেক কারণ রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে কিন্তু এই কষ্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১) রোদ:
মাথা যন্ত্রণা এড়াতে চাইলে কিন্তু রোদ থেকে বাঁচতে হবে। ছাতা বইতে বা টুপি পরতে ভাল লাগে না বলে একটানা রোদ লাগানো যাবে না। প্রথমে চোখে কষ্ট, পরে সেখান থেকেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে।
২) বায়ুদূষণ:
গরমেও বাতাসে পোলেন, অ্যালার্জেনের মতো উপাদান বেড়ে যায়। বায়ুদূষণেরর মাত্রা বেড়ে গেলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাও বাড়তে থাকে। রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে মাইগ্রেন অ্যাটাক হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
গরমকালে জল খাওয়া কম হলে অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ডিহাইড্রেশন:
গরমকালে জল খাওয়া কম হলে অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে ঘামও বেশি হয়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যেতেই পারে।
৪) যাপনে পরিবর্তন:
অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে, জল খাওয়া কম হলে, রোজ অন্তত পক্ষে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম না হলেও কিন্তু মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। মানসিক চাপ, হরমোনের হেরফেরেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
৫) বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা:
গরমকালে ঘাম তো হবেই। তবে, মাইগ্রেন বা মাথা যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হল বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা। বাতাসে এই উপাদানটি বাড়তে থাকলে ঘাম বেশি হয়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।