লা-জবাব লেবুর জল। ছবি: শাটারস্টক।
এক টুকরো পাতিলেবু। আপেল আর আঙুরের চেয়েও তাতে নাকি পটাশিয়াম বেশি। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম— কী নেই? সকালে উঠে ইষদুষ্ণ এক গ্লাস গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার টোটকাটা যত প্রাচীন, ততটাই কাজের।
কী কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয় লেবুর জল?
১) হজমক্ষমতা বাড়বে: আজকাল অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে কাজ করেন। ফলে মাঝেমধ্যেই হজমের সমস্যা হচ্ছে কারও কারও। রোজ একটু করে লেবুর জল খেলে অনেকটাই কাজে লাগতে পারে। টানা কয়েক দিন এই খালি পেটে লেবুর জল খাওয়া অভ্যাস করুন। ঝরঝরে হবে শরীর।
২) ওজন কমবে দ্রুত: শরীরচর্চার সময় অনেকেরই হয় না। ফলে এখন অন্য পথ নিতেই হবে। লেবুর জলে যে ওজন কমে, সে কথা মনে রাখবেন। এক কাপ গরম জলে একটি পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। নিয়মিত তা খেলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন।
৩) ত্বকের জেল্লা বাড়বে: লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। তা-ই সাহায্য করে ত্বকের যত্ন নিতে। ফলে নিয়মিত লেবুর জল খেলে যেমন বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা কমবে, তেমনই উজ্জ্বল দেখাবে ত্বক।
৪) প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে: শরীরে প্রবিষ্ট অনেক ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি। ফুড পয়জ়নিং কিংবা ডায়েরিয়া প্রতিরোধে তাই পাতিলেবুর রস কাজে দেয়। লেবু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তাই সংক্রমণ ঠেকাতেও রোজ নিয়ম করে লেবুজল খেতে পারেন।
শরীরে প্রবিষ্ট অনেক ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি। ছবি: শাটারস্টক।
৫) রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় পাতিলেবুর রস ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী। উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে লেবুতে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ভাল কাজে দেয়। তা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ধূমায়িত চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে দিন শুরু হয় না অনেকের। এর পরও দিনে অগুনতি চা-কফি হয়ে যায়? তবে কষ্ট করে অভ্যাসটা গরম লেবুর জলে বদলে ফেলতে পারলে সারা দিনে চা-কফি খাওয়ার ইচ্ছাটা মরে যাবে।