হঠাৎ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে তা অস্থিসন্ধিতে জমা হতে থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
মূত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি। শরীরের মধ্যে তা থাকবেই। কার শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকের হার কেমন, তার উপর। হঠাৎ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে তা অস্থিসন্ধি এবং মূত্রনালিতে জমা হতে থাকে। দীর্ঘ দিন জমতে জমতে তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার নেয়। ফলে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নষ্ট হয়। অন্য দিকে, কিডনিতে বা মূত্রনালিতে পাথর জমার অনেক কারণের মধ্যে এটিও একটি কারণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে করতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। কারও দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তো আর কথাই নেই। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে?
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমে অল্প বয়সেই বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
১) বাতের ব্যথা
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমে অল্প বয়সেই বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এই ধরনের ব্যথাও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষত যাঁদের বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাঁদের সাবধানে থাকতেই হবে।
২) কিডনির সমস্যা
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। কিডনি বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
৩) হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যেতে পারে। কারণ, এই অ্যাসিড পরোক্ষ ভাবে রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।