—প্রতীকী ছবি।
হয়তো তাড়াহুড়ো করে শুকনো কোনও খাবার খাচ্ছেন বা জল খেতে খেতে কোনও কথা শুনে এমন অবাক হলেন যে, হেঁচকি উঠতে শুরু করল। অনেকেই বলে থাকেন, দূরের কোনও বন্ধু বা আত্মীয় মনে করছেন। তাই এমন হেঁচকি উঠতে শুরু করেছে। সে তো গেল কথার কথা। কিন্তু হেঁচকি আসলে কী? চিকিৎসকেরা বলেন, ফুসফুসের তলায় থাকা এক ধরনের পেশির সঙ্গে শ্বাসনালীর ক্রমাগত সঙ্কোচন, প্রসারণ এবং ধাক্কা লাগার ফলে সাধারণত হেঁচকি ওঠে। এ ছাড়া, আরও কিছু কারণ রয়েছে, যার ফলে হেঁচকি উঠতে পারে।
হেঁচকি কেন ওঠে?
১) তাড়াতাড়ি করে খাবার বা জল খেতে গিয়ে হেঁচকি উঠতে পারে।
২) বেশি খেয়ে ফেললে অনেক সময়ে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়, তখনও হেঁচকি উঠতে পারে।
৩) অত্যধিক মানসিক চাপ থেকে গলা শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ে এমন সমস্যা হয়।
৪) বাতাসের চাপ বা তাপমাত্রায় হঠাৎ কোনও পরিবর্তন হলেও হেঁচকি উঠতে পারে।
৫) শরীরচর্চা করতে গিয়ে বা শোয়ার ভুলে ঘাড় এবং গলায় অতিরিক্ত চাপ পড়লেও অনেক সময়ে হেঁচকি ওঠে।
চেষ্টা করেও হেঁচকি কিন্তু আটকানো যায় না। যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজে থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। কখন, কার কী কারণে হেঁচকি উঠবে, তা কেউ আগে থেকে নির্ধারণ করতে পারে না। হেঁচকি উঠলে সাধারণত গুরুজনেরা জল খেতে বলেন। তবে বোতলের পর বোতল জল খাওয়ার পরেও অনেক সময়ে হেঁচকি থামে না। তবে কিছু টোটকা প্রয়োগ করে হেঁচকি ওঠার পরিমাণ কমিয়ে ফেলা যেতে পারে।
কী করলে হেঁচকি বন্ধ হবে তা়ড়াতাড়ি?
১) মুখ ঢেকে রাখুন
হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে চেষ্টা করুন। এর ফলে শ্বাসনালীতে কার্বন মোনো-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যা হেঁচকি ওঠা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
২) মিষ্টি কিছু খান
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, হেঁচকি ওঠার সময়ে এক চামচ চিনি খেলে এমন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। চিনির মিষ্টত্ব ‘ভেগাস’ নামক স্নায়ুটিকে উদ্দীপিত করে। যা এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে।
৩) কান বন্ধ করে রাখুন
ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত করার আরও একটি উপায় হল কান বন্ধ করে রাখা। ২০ থেকে ২৫ সেকেন্ড কান বন্ধ করে রাখলেও এই সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যায়।