চিয়া বীজের হরেক গুণ ছবি: সংগৃহীত
হরেক রকম পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার হিসেবে ক্রমেই বাড়ছে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা। ‘সালিভা হিসপানিকা’ নামক উদ্ভিদ থেকে এই বীজ পাওয়া যায়। খাবার ‘বেক’ করার সময় অনেকে এখন ডিমের বদলে এই বীজ ব্যবহার করেন। পুডিং ও স্যালাডের সঙ্গেও এই বীজ খান কেউ কেউ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে চিয়া বীজ খেতে হবে জলে ভিজিয়ে। কিন্তু কী কী উপকার মিলতে পারে এই বীজ থেকে?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
২। প্রদাহ কমাতে: চিয়া বীজে থাকে ‘ক্যাফেইক অ্যাসিড’ নামক অপর এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টটি প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ উপযোগী।
৩। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে: চিয়া বীজ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামক এক প্রকার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে সহায়তা করে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
৪। ত্বকের যত্ন: চিয়া বীজে এমন কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেগুলি ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি জলে ভিজিয়ে খেলে দেহে জলের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমে। ফলে শুষ্ক হয় না ত্বক।
৫। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসতে পারে চিয়া বীজ।
তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই সব খাবার সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। তা ছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিয়া বীজ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। কাজেই নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।