Tips for controlling Uric Acid

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে? ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি রোজের জীবনে কোন কোন বদল আনা জরুরি?

ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। তবে শুধু নিয়ম মেনে খেলেই হবে না, সেই সঙ্গে করতে হবে শরীরচর্চাও। জেনে নিন, কী কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৯
Share:

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।

ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডও স্বাভাবিক জীবনযাপন কিছুটা স্তব্ধ করে দেয়। মূত্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি। কার শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। চিকিৎসকদের মতে, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ঝুঁকি আরও দ্বিগুণ হয়। সুস্থ থাকতে তাই খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। তবে শুধু নিয়ম মেনে খেলেই হবে না, সেই সঙ্গে করতে হবে শরীরচর্চাও। জেনে নিন, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের রোজকার জীবনে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনতে হবে। কী কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা?

Advertisement

রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।

১) ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে ডায়েটে বড়সড় বদল আনতে হবে। এমন রোগীকে কম পিউরিনের মাত্রা যুক্ত খাবার খেতে হবে। পিউরিন যৌগ রক্তে মিশে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাকসব্জি, মিলেট, ফল, ভেষজ চা খাওয়া যেতে পারে। তবে রেডমিট, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে না। মাছ, চিকেন বা ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে, সব মিলিয়ে দিনে ৫০ গ্রামের বেশি নয়। মাছ বা চিকেন নিয়মিত খাওয়া গেলেও, মাছের মুড়ো, মুরগির মেটে বাদ দিতে হবে। ডায়েটে ফাইবার আর ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার বেশি করে রাখতে হবে।

২) ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে শরীরে জলের ঘাটতি যাতে না হয়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খেতেই হবে। জল খেলেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

Advertisement

৩) শরীরের বিপাকহারের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের সরাসরি সম্পর্ক আছে। ওজন বেড়ে গেলে বিপাকহার কমে যায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সবার আগে ওজন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট শুরু করুন।

৪) চিনি খাওয়া কিংবা চিনিযুক্ত কোনও পানীয় খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার একেবারে বন্ধ করা উচিত। নরম পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌটোবন্দি ফ্রুট জুস খাওয়া চলবে না।

৫) মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। মদ্যপান করলে কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়, তাই এই অভ্যাসে সবার আগে রাশ টানতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement