প্রতীকী ছবি।
পর্দায় তারকাদের ছিপছিপে, মেদহীন চেহারা দেখতে পছন্দ করে দর্শক। সেই সৌন্দর্যের নেপথ্যে যে অক্লান্ত পরিশ্রম লুকিয়ে থাকে, তা অনেক সময়ে আড়ালেই থেকে যায়। পরিশ্রম ছাড়া রোগা হওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কে কতটা পরিশ্রমী, তার উপর নির্ভর করছে ওজন কত দ্রুত কমবে। ডায়েট, শরীরচর্চা, বাইরের খাবার না খাওয়া— রোগা হওয়ার প্রাথমিক শর্ত এগুলিই। কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। ওজন ঝরানোর আরও বেশ কিছু পথ আছে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, সকালের কিছু অভ্যাসেই লুকিয়ে থাকে রোগা হওয়ার রহস্য।
দ্রুত বিছানা ছাড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। তাড়াতাড়ি সকাল শুরু করলে শরীরে একটা বাড়তি চনমনে ভাব থাকে। সব কাজেই একটা আলাদা উৎসাহ পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করতেও আগ্রহ জন্মায়। সূর্য মধ্যগগনে ওঠার পর শরীরচর্চা করার উৎসাহ থাকে না। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়।
ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করুন
আগে থেকে ঠিক করে রাখুন পরের দিন ঠিক কত ক্ষণ শরীরচর্চা করবেন। সেই অনুযায়ী ঘুম থেকে উঠুন। শরীরচর্চায় খামতি থাকলে ওজন ঝরানো কঠিন হয়ে উঠবে। তাই মন দিয়ে ব্যায়াম করুন। কোনও দিন যদি সময়ের আগে শরীরচর্চা করা শেষ করে দেন, পরের দিন বেশি ক্ষণ করে নিন।
প্রচুর পরিমাণে জল খান
সকালে উঠে জল খাওয়ার অভ্যাস দ্রুত ওজন ঝরাতে সাহায্য করবে। বেশি করে জল খেলে শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়। আর এই টক্সিন হল ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই সকালে উঠেই শরীর ঝরঝরে করে ফেলুন জল খেয়ে। দেখবেন ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
জলখাবারে প্রোটিন থাক
প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, এই ধারণা ভুল। বরং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন অন্যতম ভরসা হতে পারে। সকালের খাবারে ডিম, দুধ, কাঠবাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট রাখতে পারেন। ওজন তাড়াতাড়ি কমবে।
ধ্যান করুন
অনেকেরই মনে হতে পারে ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করার পরেও রোগা হতে ধ্যান করা কতটা প্রয়োজনীয়। মনের সঙ্গে ওজনের একটা সম্পর্ক রয়েছে, অনেকেই তা জানেন না। মন যদি অস্থির থাকে, তা হলে কোনও পরিশ্রমই কাজে আসবে না। তাই মনের খেয়াল রাখাও প্রয়োজন।